এম ইদ্রিস আলী (সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা):  সাতক্ষীরা দখলকৃত প্রেসক্লাব অবমুক্ত করতে প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম। বুধবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি হলে আয়োজিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের নিয়ে পরিচিত সভায় এই আল্টিমেটাম দেন তিনি। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্জালনায় বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যার্ণাজী,দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক ও প্রকাশক জি এম নুর ইসলাম, দৈনিক পত্রদূতের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এড.আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক আশেকী ইলাহি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহম্মেদ বাপি।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এখানে কোন রাজনীতি নেই বিগত দিনেও ছিল না। কিন্তু কিছু অসাংবাদিক যারা বিগত সরকারের আমলে সাংবাদিকতা না করে চেয়ার দখল করে একজন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যর মাইম্যান হিসাবে মূলধারার সাংবাদিকদের পিটিয়ে ক্লাব ছাড়া করেছিল তারা আজ ৫ ই আগষ্টের পরে ভোল পাল্টিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী সেজে আবার প্রেসক্লাবের চেয়ার দখল করে নিয়েছে। মূল ধারার সাংবাদিকদের কলম বন্ধ করতে ফ্যাসিবাদের দোষর থকমা লাগিয়ে থামানোর চেষ্টা করছে।

সাতক্ষীরা ২৪ লক্ষ মানুষের পক্ষে কথা বলার একটি প্রতিষ্ঠান এভাবে অসাংবাদিকদের হাতে জিম্মি থাকতে পারেনা। সাতক্ষীরা উন্নয়ন, অবহেলিত সড়ক জনপদ , শিক্ষা, জলাবদ্ধতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সকল কিছুর চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। সেই সাংবাদিকদের একমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রেসক্লাব যদি অসাংবাদিক দিয়ে জবর দখল করে রাখে এত মত ন্যাক্কার জনক কিছু নেই। যারা সরকারি খাসজমি দখলে রাখতে চায়,যার নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে চায়, সকল অফিস আদালতে প্রভাববিস্তার করতে চায় তারা প্রেসক্লাবকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রেসক্লাবের চেয়ার থাকলে তাদের সকল অপকর্মের বৈধতা পাবে সেই নেশায় চেয়ার কে আকড়ে ধরে রেখেছে দখলকৃত অসাংবদিকরা।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যার পত্রিকা বন্ধ হয়েগিয়েছিল যিনি ১৫ বছর কোন পত্রিকার সাংবাদিকতা করেননি নিউজ প্রকাশ হয় নি তিনি ৫ বারের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে চেয়ারে ছিলেন তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী পরিচয় দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে খাসজমি দখলে রেখে ১৭ ভোগ দখল করে আসছে এখনও চলমান তিনি মূল ধারার সাংবাদিকদের ফ্যাসিষ্ট হিসাবে আখ্যায়িত করে। এই অসাংবাদিক দের খুঁটির জোর কোথায় আমরা জানতে চায়।

আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীনের সম্পাদক আবুল কালাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি বেলাল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ টিভির জেলা প্রতিনিধি শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ময়না সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাসুদুজ্জামান সুমন, কাজী জামালউদ্দীন মামুন, আব্দুস সামাদ ও আসাদুজ্জামান সরদার।

আরোও উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য এনটিভির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, দৈনিক হৃদয় বার্তার সম্পাদক জিএম মোশাররফ হোসেন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আলী মোক্তাদার হৃদয়, দৈনিক জনবাণীর রায়হান সিদ্দিকী, দৈনিক বাংলার আবু সাঈদ, গ্লোবাল টিভির রাহাত রাজা, দৈনিক একাত্তর বাংলার অ্যাড. এবিএম সেলিম, আজকালের খবরের এস এম তৌহিদুজ্জামান, ঢাকার ডাক পত্রিকার তৌহিদুজ্জামান লিটু। এ ছাড়া রুপালি বাংলাদেশের আব্দুল মমিন, আজকের বিজনেস বাংলাদেশের জামালউদ্দীন, ভোরের আকাশের আমিনুর রহমান, দৈনিক ঘোষণার আজিজুল ইসলাম ইমরান, স্বদেশ প্রতিদিনের হাবিবুর রহমান সোহাগ, ঢাকা টাইমসের হোসেন আলী, দৈনিক রানারের শহীদুজ্জামান শিমুল, গণকণ্ঠের সাইফুল বাশার ও যায় যায় কালের আব্দুর রহমান।

তাছাড়া একুশে সংবাদের সানজিদুল হক ইমন, সমাজের কথার সিরাজুল ইসলাম, নবচেতনার হাসান গফুর, ভোরের চেতনার রমজান আলী, রূপান্তর প্রতিদিনের আব্দুস সালাম, খবর বাংলাদেশের রেজাউল ইসলাম বাবলু, নওরোজ ও কালান্তরের বোরহানউদ্দীন বুলু, দৈনিক অনির্বাণের জিএম সোহবার হোসেন, ভয়েজ অব টাইগারের মিলন কুমার বিশ্বাস, দেশ সংযোগের আমিরুল ইসলাম, আমার প্রাণের বাংলাদেশের নাজমুল আলম মুন্না, মানবাধিকার প্রতিদিনের ওয়াইজ কুরনি, আলোকিত সকালের সেলিম হোসেন, প্রতিদিনের কাগজের ইদ্রিস আলী, আজকালের কন্ঠের আতিয়ার রহমান ও প্রজন্ম একাত্তরের সাইফুল আযম খান মামুন। সহযোগী সদস্যরা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুনসুর রহমান, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জাফর মো. সালেহ, মোরশেদুল হক, এস এম শাহা নেওয়াজ মাহমুদ রণি, হাবিবুল্লাহ বাহার, হামিদুল ইসলাম, মাসুদ হাসান মনি, রেজাউল করিম, ইব্রাহিম খলিল।