মোঃ হাসান (লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা):  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদুর রহমান দিপু (৫০)–কে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তিনি উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের পশ্চিম পঞ্চায়েত বাড়ির মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে।

শনিবার (২৮ জুন) রাতে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব অনন্তপুর গ্রামের “আনন্দধারা এলপি গ্যাস” নামক একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, তার হেফাজত থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

নোয়াখালীতে অবৈধ অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার নোয়াখালী, ২৯ জুন ২০২৫: অবৈধ অস্ত্রসহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদুর রহমান দিপু (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (২৮ জুন) রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব অনন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে “আনন্দধারা এলপি গ্যাস” নামের একটি দোকান থেকে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সাহেদুর রহমান দিপু বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের পশ্চিম পঞ্চায়েত বাড়ির মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমান একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। মামলার প্রস্তুতি: এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র। গ্রেপ্তারের পর তাকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আজ (রবিবার) তাকে আদালতে তোলা হতে পারে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহেদুর রহমান দিপু ইউনিয়নে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।

তবে এসব ঘটনায় কখনো আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারই প্রথমবার তাকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হলো। ডিবির বক্তব্য: নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র জানায়, "গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিপু কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।" এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া: দিপুর গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ এটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ বললেও, অনেকেই মনে করছেন—অবশেষে একজন বিতর্কিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলো।