মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (খুলনা জেলা সংবাদদাতা): খুলনার রূপসায় খুলনা ৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারি হেলাল বলেছেন, “দেশে নির্বাচন আটকে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র চলছে।
সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমাদের একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আদায় করতে হবে।” তিনি বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী এবং দেশের স্বাধীনতা রক্ষার পরীক্ষিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন। আজ রূপসায় কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজিজুল বারি হেলাল বলেন, “আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশব্যাপী ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণ অভিযান শুরু হয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে আজকের এই কর্মসূচি।” এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বহু পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে। আপনারা নদী ভাঙন রোধে টিএনও বরাবর আবেদন করলে আমি দ্রুততম সময়ে মধ্যে ব্যবস্থা নেব।” তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চলে পানির সংকট নিরসনে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এবং রাস্তাঘাট সংস্কারের জন্য এলজিইডি বরাবর আবেদন করলে বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিদের কে বিএনপিতে কোন জায়গা দেয়া হবে না।
যদি কোন দুষ্কৃতিকারী দলের নাম ব্যবহার করে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করুন। প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে আমরা মনে করব আপনারাই এদের সহযোগিতা করছেন।” আজিজুল বারী হেলাল আরও বলেন, “যতদিন দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল উদ্দেশ্য।” তিনি গোপালগঞ্জের ঘটনাকে গণঅভ্যুত্থানের ওপর আঘাত এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের গ্রেফতার না করায় তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “জামায়াতের ভুল রাজনীতির কারণে তাদের দশজন জাতীয় নেতাকে হারাতে হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিই একমাত্র দল, যা গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে পরীক্ষিত।” বক্তব্যের শেষে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “ইনশাআল্লাহ, রূপসাকে আগামী দিনে দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত একটি আদর্শিক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।” মোল্লা কবির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং আবু সাইদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান মন্টু, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান নান্নু, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খাইরুল ইসলাম, জি এম কামরুজ্জামান টুকু, এনামুল হক সজল, মোল্লা সাইফুর রহমান, ইবাদুল হক রুবায়েদ, আতাউর রহমান রুনু এবং জাবেদ হোসেন মল্লিক।
এছাড়াও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাম মোস্তফা তুহিন, বিকাশ মিত্র, নৈহাটি বিএনপির সাবেক আহবায়ক মহিউদ্দীন মিন্টু, শাহানাজ ইসলাম, মোল্লা আনোয়ারুল ইসলাম, সোহাগ শিকদার, মুরশিদুর রহমান লিটন, ইসমাইল শেখ, বাদশা জমাদ্দার, ফরিদ আনোয়ার, শামিম জমাদ্দার, দিদারুল ইসলাম, আনসার বিশ্বাস, মিকাইল বিশ্বাস, আসাবুর রহমান এবং খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক বনি আমিন সোহাগ।