মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (জামালপুর জেলা সংবাদদাতা): জামালপুরে ডিবি পুলিশের অ'ভি'যা'নে ৭৪ কেজি গাঁ'জা উ'দ্ধা'র, নারী ব্যবসায়ী গ্রে'ফ'তা'র জামালপুরের মেলান্দহ এলাকায় অ'ভি'যা'ন চালিয়ে ৭৪ কেজি গাঁজা উ'দ্ধা'র করেছে ডি'বি পুলিশ।
পাশাপাশি মোছাঃ সুজেদা(৩৮) নামের নারী গাঁজা ব্যবসায়ীকে গ্রে'ফ'তা'র করা হয়। তিনি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার চরবানী পাকুড়িয়া ইউনিয়নের রায়ের বাকাই গ্রামের বেলাল মিয়ার স্ত্রী। এদিকে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ডিবির এসআই মো: এহসানুল হক আবির বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৩৬ (১) এর স্মারণীর ১৯(গ) /৪১ ধারায় মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন।
ডিবি কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম এর নির্দেশে প্রতিনিয়ত মা'দ'ক বিরোধী অ'ভি'যা'ন পরিচালনা করছে ডি'বি পুলিশ। গো'প'ন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ৩ টা ২০ মিনিটে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র এসআই মোঃ এহসানুল হক এর নেতৃত্বে নারী কনস্টেবল খাদিজা খাতুনের সহায়তায় মেলান্দহ থানার মধ্য বাকাই এলাকায় অ'ভি'যা'ন পরিচালনা করে ডি'বি পুলিশ। এ সময় ৪টি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় স্কচটেপ মোড়ানো মোট ২৮টি প্যাডিতে মোট ৭৪ কেজি গাঁ'জা উ'দ্ধা'র করা হয়।
যার বাজারমূল্য ২২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ডিবির এই সফল অ'ভি'যা'নে'র বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, আমাদের টিম মা'দ'ক'বি'রো'ধী অ'ভি'যা'নে নিয়মিত তৎপর রয়েছে। এই ধরনের অ'ভি'যা'নে'র মাধ্যমে জামালপুর জেলায় মা'দ'ক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, নারী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মা'ম'লা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার স্বামী পলাতক। এদিকে জামালপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সোহেল মাহমুদ বলেন, মা'দ'ক সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য একটি ভ'য়া'ব'হ অভিশাপ।
তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার এ ধ্বংসাত্মক চক্র ভাঙতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার এই সফল অভিযান জামালপুর জেলাকে মা'দ'ক'মু'ক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। তিনি আরো বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো অপরাধীই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারা মা'দ'ক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা পুলিশের সকল ইউনিট সমন্বিতভাবে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মা'দ'ক নির্মূলে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে কোনো ধরনের আপস নেই।