মোঃ রফিকুল ইসলাম ( খুলনা জেলা সংবাদদাতা): খুলনায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেছেন বিগত দিনের সেই নির্যাতন, অত্যাচার এবং অপকর্মের শিকার মানুষ আর হতে চাই না। আজ (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টার সময় শিরোমণি হাফিজিয়া মাদরাসা অডিটোরিয়ামে খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া) আসনের ভোট কেন্দ্র পরিচালক, থানা পরিচালক ও সদস্য সচিব, ইউনিয়ন পরিচালক ও সদস্য সচিব এবং আসন কমিটির প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বিগত দিনে দুঃশাসন, নির্যাতন, অত্যাচার ও অপকর্ম জনগণ দেখেছে, সেই নির্যাতন, অত্যাচার এবং অপকর্মের দিকে মানুষ আর ফিরে যেতে চায় না।
তারা এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চায় যা পরিচালিত হবে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও ঠিক তেমন একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়তে চায়, যেখানে থাকবে না কোন অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন, দুর্নীতি ও দুঃশাসন।
থাকবে পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা এবং ভ্রাতৃত্ববোধ। রাষ্ট্রের মালিকানা থাকবে জনগণের, আর শাসক হবে সেবক। যেখানে শাসক কখনো শোষক হবে না, লুটপাট করবে না, দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন করবে না। তাই একটি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন এবং আগামী নির্বাচনে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দানের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাঙ্খিত সোনার বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করুন।
নির্বাচনী আসন কমিটির আহবায়ক মুন্সি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, জেলা কর্ম পরিষদ ও শূরা সদস্য মাস্টার শেখ সিরাজুল ইসলাম, জেলা অফিস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, বায়তুলমাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্যা, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ফকির, ফুলতলা উপজেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম মোল্যা,
খানজাহান আলী থানা আমীর ডাক্তার সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হোসেন, ফুলতলা উপজেলা সেক্রেটারি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা সাইফুল হাসান খান, খানজাহান আলী থানা সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুন, ডুমুরিয়া উপজেলা সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা শেখ মো. আলাউদ্দিন, ড. আজিজুল হক, মাস্টার মফিজুল ইসলাম, মো. শরিফুল ইসলাম, হাফেজ আল আমিন গাজী, মাস্টার মিজানুর রহমান, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।