এ কে এম আজহারুল ইসলাম সবুজ (গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা): কৃষি মাঠে বকের ঝাঁক, পথচারীরা মুগ্ধ নিভৃত গ্রামাঞ্চল। বসতবাড়ির অদূরে কৃষি মাঠ। অল্প পানিতে সবুজ ঘাস উঁকি মারছে। এ মাঠে রয়েছে অজস্র পোকামাকড়। একইসাথে স্বল্প সংখ্যক দেশি প্রজাতির ছোট মাছও ছোটাছুটি করছে। আর এখানে আনাগোনা বেড়েছে সাদা বকের ঝাঁকেরও। হাপুস-হুপুস করে এসব কীটপতঙ্গ ও মাছগুলো আহার করছে এক ঝাঁক বক।
হঠাৎ করে এ ধরনের চমৎকার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ পথচারীরা। একইসাথে উচ্ছ্বসিত কৃষকরাও। গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রাম। এ গ্রামের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাকা রাস্তার ধারে খাসবিল নামক স্থানে দলবেঁধে ছুটে আসছে অসংখ্য সাদা বক। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিমধ্যে গাইবান্ধার ফসলি মাঠ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ করেছেন প্রান্তিক কৃষকরা। প্রায় মাস দেড়েক আগে এ ধান ঘরে তোলার পর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে কৃষি মাঠ।
বর্ষাকালের এ মাঠ এখন আগাছার দখলে। এরই মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে অল্প পানিতে কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন রোপা আমন চাষাবাদের। এ মুহূর্তে ফসলি মাঠে অবস্থান করছে সাদা বকের দল। এছাড়া হালচাষ করা জমি থেকে বেরিয়ে আসা কীটপতঙ্গ খেতেই দলবদ্ধভাবে ছুটছে অসংখ্য বক।
মুরাদ মিয়া নামের এক পথচারী জানান, কৃষি মাঠে সাদা বকের ঝাঁক দেখে মুগ্ধ তিনি। বিশেষ করে বর্ষাকালের হালকা খরায় যখন মাঠ পরিত্যক্ত থাকে, তখন এসব বকের আনাগোনা লক্ষণীয়। তবে আগের মতো চোখে পড়ে না। মোজাহার আলী নামের কৃষক বলেন, গত কয়েক বছর এই এলাকায় বকের ঝাঁক দেখা যায়নি। এবার হঠাৎ করে খাসবিলে দলে দলে আসছে সাদা বক।
এরা তাড়াহুড়ো করে খাচ্ছে পোকামাকড় ও ছোট মাছ। তখন পথচারীরা এই বকের মিলন মেলা দেখে দারুণ আনন্দ পাচ্ছেন। গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামীণ জনপদে সাদা বক অতি পরিচিত পাখি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মাঠের খাল-বিলে এই পাখির অবাধ বিচরণ দেখা যায়। তবে আগের তুলনায় সংখ্যায় এরা অনেক কম। এসব পাখি কেউ যেন শিকার না করে, এ ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক থাকা দরকার।