মোঃ রফিকুল ইসলাম (খুলনা জেলা সংবাদদাতা): খুলনার এসওএস শিশু পল্লীর নবম শ্রেণির ছাত্রী ইসরাত জাহান ইশা (১৬)–এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে হোমের ভেতরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
পরে এসওএস শিশু পল্লীর কর্মকর্তারা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইশা খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার আল-আমিন মহল্লার বাসিন্দা খালেক শেখের মেয়ে। ১৬ মাস বয়সে মাকে হারানোর পর থেকে সে খুলনার এসওএস শিশু পল্লীতে থাকছিল এবং সেখান থেকেই পড়াশোনা করছিল।
নিহতের নানা জুয়েল শেখ বলেন, “আমার নাতনির মৃত্যু রহস্যজনক। আত্মহত্যার যে ওড়না বা রশি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি দেখাতে পারেনি হোম কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের না জানিয়েই প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পরে আমাদের খবর দেয়।
” তিনি আরও দাবি করেন, “এসওএস শিশু পল্লীর কেউ ইশার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলতে পারবে না। ১৪ বছর ধরে সে সেখানে ছিল।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, আত্মহত্যা হলেও কীভাবে, কী কারণে একজন কিশোরী এই পথ বেছে নিল, তা তদন্ত হওয়া জরুরি। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “রাতে মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বোঝা যাবে, এটি আত্মহত্যা না কি অন্য কোনো কারণ।” বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ইশার মরদেহ মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখযোগ্য যে, হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এসওএস শিশু পল্লীর কেউ কথা বলতে রাজি হননি। এ ঘটনাটি ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে, যা নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি রাখে।