নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ইমারত পরিদর্শক শাহ আলম এর একাধিক ঘুষ , দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়নি রাজউক। একাধিক গণমাধ্যম তাঁর অভিযোগ পেয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।সাম্প্রতিক জোন ৬/২ চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।শাহ আলম যেখানে দায়িত্ব পালন করেন সেখানেই ঘুষ বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজন প্রীতি এবং নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণে সহযোগিতার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ চাউর হয়েছে।
ঘুষ বাণিজ্য ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই । গণমাধ্যম বক্তব্য না দেওয়ার জন্য মোবাইল নম্বর বন্ধ রেখেছেন। উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবি করতেন এ অসাধু পরিদর্শক। ভবন মালিকরা টাকা দিতে রাজি না হলে একটি দুইটি চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে ভবন ভাঙাসহ মোবাইল কোড বসিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করতেন।
এদিকে শাহ আলমের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন তাঁর দায়িত্বরত এলাকার অনেক ভবন মালিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী ভবন মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, শাহ আলম অত্যন্ত সুচতুর ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ । সুন্দরভাবে হাসিমুখে কথা বলে অনেক কৌশলী হয়ে ভবন মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় বেজায় পারদর্শী। ওই পরিদর্শক ভবন মালিকদের আরও বলেন , আপনাদের দেওয়া অর্থ আমি একা ভোগ করতে পারিনা। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও এ টাকার ভাগ দিতে হয়। তাদের কে পরিমাণ মত ভাগ না দিলে আমাকে কোনো ভালো সাইড দিবে না।
অনুসন্ধান সূত্র বলছে,শাহ আলম কোনাপাড়া পাড়াডগাই মৌজায় থাকাকালীন স্বপ্নদোলা ভবন থেকে মোটা অংকের অর্থ ঘুষ নিয়েছেন।এজন্য ভবন মালিক কে সান্ত্বনা হিসেবে বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে কোন সমস্যা হবেনা। তিনি আরও বলেন , আমি এই এলাকায় না থাকলেও নতুন যে ইমারত পরিদর্শক আসবে তিনি আপনাকে আমার মত তার কাছে উপকার পাবেন। যদি কোন ব্যত্যয় ঘটে তাকে আমাকে ফোনে ধরিয়ে দিবে আমি তাকে বলে দেব আমার লোক।
আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন আপনার ভবন রক্ষার দায়িত্ব আমার।এসব অনিয়মের বিষয় শাহ আলমের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি বলেছি উপরের নির্দেশে। উপর বলতে আপনি বোঝাতে চেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গড়িমসি করেছেন।নোটিশ দিয়ে ঘুষ আদায় করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অন্য প্রসঙ্গ টেনে বলেন, নোটিশ সবকটা জোনে দেওয়া হয় । তবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘুষ আদায় করার বিষয়টি থমকে যান। তাঁর বিরুদ্ধে একটি চৌকস টিম অনুসন্ধান অব্যহত রেখেছেন। অচিরেই তাঁর দুর্নীতির মুখোশ উন্মোচন হবে।বিস্তারিত থাকছে আগামী পর্বে