তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজকদের কাছে অনুদানের প্রথম কিস্তির মঞ্জুরিপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এর অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়ন-বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করা হবে। কর্মশালায় চলচ্চিত্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই কর্মশালা চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সরকারি অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবারে চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়েছে। এ বছর অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রগুলোর গল্পের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রকৃত ঘটনাপ্রবাহের আলোকে সংবেদনশীলতা বজায় রেখে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।
অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, সরকারি অনুদানে নির্মিত সব চলচ্চিত্র বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষণ করা হবে। ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসব চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণ কার্যক্রম শেষ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে অনেকেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেননি। এটি দুঃখজনক। তিনি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজকদের নিকট অনুদানের মঞ্জুরিপত্র হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর, অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, অতিরিক্ত সচিব নূর মো. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানিসহ অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে সরকারি অনুদানের জন্য মনোনীত ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রথম কিস্তিতে ১৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার মঞ্জুরিপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রথম কিস্তিতে ৬ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার মঞ্জুরিপত্র প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্র নির্মাণ সাপেক্ষে প্রতিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে চার কিস্তিতে মোট ৭৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে চার কিস্তিতে মোট ২০ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।