বুধবার , ২৪ জুলাই ২০২৪ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নথিপত্র পুড়ে গেছে

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ২৪, ২০২৪ ১:৩৫ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

কোটা আন্দোলন ঘিরে সেতু ভবনে দুর্বৃত্তদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় হওয়া মামলার এজাহার ও নথিপত্রে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, ভবনের নিচতলা থেকে ১২তলা পর্যন্ত ফ্লোরে রাখা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দপ্তর, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, পদ্মা সেতু প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুলেন সড়ক টানেল প্রকল্প (বঙ্গবন্ধু টানেল), ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পসহ সেতু বিভাগের আওতাধীন সব প্রকল্পের প্রধান কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিল, এফডিআর ইনস্ট্রুমেন্ট, টেন্ডার সিকিউরিটি ডকুমেন্টস, ইন্টারনেট সার্ভার, শতাধিক কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রীসহ যাবতীয় নথিপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।

এ ছাড়া সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা তিনটি জিপ, ৯টি পিকআপ, সাতটি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, পাঁচটি মোটরসাইকেল ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভস্মীভূত হয়েছে।

সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত শনিবার (২০ জুলাই) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলার পর ২১ জুলাই বনানী এলাকা থেকে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন। বর্তমানে তিনি এ মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন।

এ ছাড়া এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২২ জুলাই বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিন উদ্দিন স্বপন ও ডা. মো. সামিউল হক ফারুকীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারাও বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছেন।

মামলা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ১৮ জুলাই সকাল ৯টায় সেতু ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিস করছিলেন। বিকেল ৪টায় সন্দিগ্ধ আসামি নুরুল হক নুরের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ থেকে ৩০০ আসামি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সেতু ভবনের সামনে এসে সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেয়। পরে তারা সেতু ভবনের সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদপদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। তখন তারা হুমকি ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা সেতু ভবনের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে।

ভবনের নিচতলায় রাখা জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর করে এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়। পরে আসামিদের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম থেকে সরে আসতে অনুরোধ করলে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে সেতু ভবনের সিনিয়র সচিব, অন্যান্য অফিস স্টাফ ও নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে আহত ও গুরুতর জখম করে। পরবর্তী সময়ে তারা নিচতলার আনসার শেড, ড্রাইভার শেড থেকে চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব এবং সেতু ভবনের ভেতরে ঢুকে নিচতলা থেকে ১১তলা পর্যন্ত ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।

অফিসে রাখা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফাইল কেবিনেট, এসি, ফ্যান, পানির ফিল্টার, চেয়ার-টেবিল, আসবাবসহ সরকারি ও ব্যক্তিগত মালপত্র সামগ্রী চুরি করে এবং প্রতিটি ফ্লোরে অগ্নিসংযোগ ঘটায়।

এ বিষয়ে ভিপি নুরের আইনজীবী হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা ভিত্তিহীন। তিনি এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তাকে দুদিন আটক রাখার পর সাজানো মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমরা আইনিভাবে এ মামলা মোকাবিলা করব।

সর্বশেষ - সংবাদ