ইভেন্টের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ৩কোটি টাকা হরি লুটের অভিযোগ ডিজি সুফিয়ান গংদের বিরুদ্ধে। একই সাথে চলছে উপজেলা অফিসার ও ভেটেরেনারি সার্জন বদলী বানিজ্য।এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্ঠার আসু হস্তক্ষেপ জরুরী।
জানা যায়, ডিজি সুফিয়ান পদায়ন পাওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই শুরু থেকেই নানান সমালোচনার জন্ম দিয়েই চলেছেন। সূত্র আরো জানায়, পতীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর এবং গত বছর রমজানের ব্যাপক ভাবে সমালোচিত সেই বংশীয় গরু কান্ডের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ইমরান এবং তার সিন্ডিকেট এখন ভোল পাল্টে নতুন ফরমেটে। তারা এখন প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক হয়ে কাজ করছে বলে ডিএলএস সংশ্লিষ্টরা জানান। সূত্র জানায়, মাহফুজ (ওরফে পেট মোটা মাহফুজ) নামে এক ব্যক্তিকে সামনে রেখে নির্বিঘ্নে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আর তাদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ব্যাবসা করতে সহযোগীতা করছে খোদ মহাপরিচলক নিজেই। সূত্র আরো জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে চলা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তীর এখন স্বয়ং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে। বয়স অনুসারে নিজ চাকুরীর মেয়াদ দশবছর মহাপরিচালক হিসাবে চেয়ার ধরে রাখতে পতীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমলের সিন্ডিকেট বংশীয় গরু কান্ডের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ইমরান সিন্ডিকেটের উপর ভরসা রেখে জনৈক মাহফুজের মাধ্যমে (ওরফে পেটমোটা মাহফুজ) একবারে স্বেচ্ছাচার ভাবে কোটি কোটি টাকা লোপাটের সুবিধা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে নেই কোন বাজারদর কমিটির মূল্য নির্ধারনের বিষয়। নেই কোনো রকমেরই পিপিআর রুল মানার বালাই।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সুবিধামত বাজার দর নির্ধারন করে একেবারে ইচ্ছেমত পদ্ধতিতে কেনাকাটা দেখিয়ে সরকারী অর্থ ভাগ বাটোয়ারা করেছে বলে অনেকের অভিযোগ।যা তদন্ত করলেই প্রমান মিলবে সূত্র জানায়, রমজানে মাসব্যাপী রাজধানীতে ২৫টি পয়েন্টে সুলভ মুল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি কার্যক্রমে বড় ধরনের অনিয়মের আলামত মিলছে। জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর ডিআইটি প্রজেক্টের সিরাজ মেমরিয়াল স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিসেস ফরিদা আখতার এ কার্যক্রমের শুভ উদ্ভোধন করেন। সূত্র জানায়, অনুষ্ঠান উদ্ভোধনে মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টার প্রোগ্রামের জন্য প্যান্ডেল নির্মান ব্যায় বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে। এ জাতীয় প্যান্ডেল নির্মানে সাকুল্লে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার বেশি হবার কথা না।
সচেতন মহলের দাবি যে পরিমান টাকা প্যানোডল নির্মান ব্যায় দেখানো হয়েছে এই পরিমান টাকায় স্থায়ী একটি ভবন তৈরি সম্ভব। এখানে প্যান্ডেল নির্মান ব্যায়ের চাইতে লুটপাট বেশি হয়েছে। যা দুদকসহ অন্যান্য তদন্ত সংস্থার তদন্ত জরুরী। তাই এই ধরনের ব্যায় যা একেবারে পুকুর চুরির সমান বলে স্থানীয়দের দাবি। একদিকে উদ্ভোধনের নামে লুটপাট আরেকদিকে রমজানে রাজধানীতে ফ্রিজিং গাড়িতে সুলভ মূল্যে দুধ-ডিম ও বয়লার এবং গরু মাংস বিক্রি নিয়ে লুটপাটের শেষ নেই। বংশীয় গরু কান্ডের ইমরান সিন্ডিকেটের সদস্য জনৈক মাহফুজের (ওরফে পেটমোটা মাহফুজ) মাধ্যমে বিগত দিনের মত এবারও ফ্রিজিং গাড়িতে করে রমজানে রাজধানীতে বিক্রির কাজ দেয়া হয়। সূত্র জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৮ মার্চ রাজধানীর ২৫টি পয়েন্টে প্রতিদিন ২৫ টি ফ্রিজিং গাড়িতে করে এ বিক্রয় কার্যক্র চলে। সেই হিসাবে ২৯ দিনে মোট ৭২৫টি গাড়ি এই বিক্রিতে অংশ নেয়। এক্ষেত্রে প্রতিটি ফ্রিজিং গাড়ির এক দিনের ব্যায় ধরা হয় প্রায় ১৪ হাজার টাকা।
এ হিসাবে তাদের বিল হয় ১ কেটি ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাত্র সাড়ে ৪ হাজার টাকায় রাজধানীতে জনি এম্বুলেন্স সার্ভিস প্রোপ্রাইটর মো: উজ্জ্বলের কাছ (উজ্জ্বলের ফেন ০১৭৯৩-১৬২৯২৫/০১৯৭৭-১৬২৯২৫) থেকে ২৫টি লাশবাহি গাড়ি ভাড়া নিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে ৬১ লাখ ৬২ হাজার ৫শত টাকা খরচ হয়। তবে অতিরিক্ত সকল টাকা ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে লোপাট করা হয়েছে বলে জানা যায়।
অপর একটি সূত্র জানায়, বিতর্কীত ব্যাবসায়ী বংশীয় গরু কান্ডের ইমরান সিন্ডিকেটের সদস্য জনৈক মাহফুজকে (ওরফে পেটমোটা মাহফুজ) কার্যাদেশ না দেয়ার আগেই ডিজির রুমে ডেকে অতিরিক্ত মুনাফা লুটপাটের হিসাব নিকাশ করা হয়। কোন প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ না দিয়ে ঠিকাদারকে মিটিংয়ে ডেকে চুপি চুপি কাজ দেয়াটা সু স্পষ্ট দুর্নিতি বলেও অনেকে মনে করেন। সূত্র জানাই, একদিকে বর্তমান সময়ে জোরে জোরে বৈষম বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলমান থাকলেও ডিএলএস এর অভ্যন্তরীনের চিত্রটা একেবারেই আলাদা।
বিগত ছয় বছর ধরে যারা ডিএলএস র এলডিডিপি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে এখনও প্রকাশ্যে তারা পুকুর চুরির করলেও দেখার যেন কেহ নেই। ডিপিএম নীতিমালা অনুসরণ করে ইচ্ছামত বিল ভাউচার করে তুলে নিতে তৎপর চক্রটি প্রাণিসম্পদের ইভেন্টের নামে কোটি-কেটি টাকা পকেটে ভরাব চেষ্টা অব্যাহত। অপর একটু সূত্র জানাই, প্রতি বছরের রমজান মাসের ডিম, দুুধ, মাংস বিক্রিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই ছাতা চেয়ার টেবিলসহ ইত্যাদী সামগ্রী বাবদ আকাশচুম্বী ভৌতিক বিল দাখিল হয়। অনেক প্রকার সামগ্রী আছে যেগুলো না কিনেই ২৫/৩০ লাখ টাকা তুলে নিচ্ছে । প্রতি বছরই একই ঘটনা প্রকাশ্যো ঘটলেও দেখার যেন কেউ নাই। এমনকি এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও সাহস করে না কেউ। দুদকসহ তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে।