ঢাকার পিলখানায় বিডিয়ার বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের নিয়োগ দেওয়া ১৭ জন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) নিয়োগ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করেন। সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানায় ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি করা বিডিআর বিদ্রোহ বিস্ফোরকদ্রব্য মামলায় ১৭ জনের বিশেষ প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল করা হলো।
’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা। বিডিআরের দরবার হল থেকে সূচনা হওয়া ওই বিদ্রোহের ইতি ঘটে নানা ঘটন-অঘটনের মধ্য দিয়ে। পরদিন পিলখানায় বিদ্রোহের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে জওয়ানরাও বিদ্রোহ করে।
সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।