আন্দোলনে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত জামাল উদ্দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বাসায় ফিরেছেন।
পুলিশের গুলিতে আহত জামাল উদ্দিন গত ৪/৮/২৪ তারিখে অভিভাবক হিসেবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করতে যোগ দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরেছেন।
তিনি বরগুনা জেলা আমতলী থানা ঢালাচাড়া গ্রামের মৃত সেকান্দর হাওলাদারের পুত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শনির আখড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও পুলিশ তাকে পিটিয়ে তার বাত হাত ভেঙে দেয় এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুটা সুস্থ হলে হসপিটাল কতৃপক্ষ তাকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। জামাল উদ্দিন ফতুল্লার লামাপাড়াস্থ এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় ফিরেন।
খবর পেয়ে বেলা চার ঘটিকার সময় তাকে দেখতে যান বাংলাদেশ জনদল বিজেডি’র মহাসচিব- সেলিম আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সচিব মনিরুজ্জামান নয়ন, সাংগঠনিক সমন্বয়কারী জসিম উদ্দিন মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন ঢালীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে আনছার আলী মাতব্বর আব্দুল আলী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিজেডি’র মহাসচিব এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ছিল ছাত্রদের একটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন। পুলিশ তাকে-সহ নির্বিচারে গুলি করে ও পিটিয়ে হাড়গোড় ভেঙ্গে দেয় । অপরাধী ওই পুলিশ সদস্যের অবশ্যই কঠোর বিচার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।