ফিলিস্তিনের ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা, শিশু ও নারীদের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে রূপান্তর হয়েছে গাজা উপত্যকা।
তাদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে শনিবার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ৪টার দিকে।
মোনাজাত করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
গাজাবাসীর করুণ অবস্থা থেকে উত্তেরণ ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও শান্তি কামনায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে প্রার্থনা জানিয়ে বিশেষ মোনাজাতে কেঁদেছেন লাখো মানুষ।
ফিলিস্তিনের পক্ষে কয়েক লাখ লোক এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয় একটি ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ প্রদর্শনী। গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলা, এতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা এবং আরব বিশ্বের নীরবতা তুলে ধরতেই এ সৃজনশীল ও প্রতীকী আয়োজন করা হয়।
দুপুর ১২টার দিকে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাবির সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়া এক মিছিলেই এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রদর্শনীতে দেখা যায়—গাজায় আহত হওয়া শিশুদের মত করে কয়েকজন শিশু মাথায় ব্যান্ডেজ করে, সেখানে লাল রং লাগিয়ে এবং ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাঁটছেন। মূলত গাঁজার আহত শিশুদের প্রতি সংহতি জানাতেই এমন আয়োজন।
অন্য প্রদর্শনীতে দেখা যায়—ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মুখোশ পরা একজন ব্যক্তি প্রতীকী রক্তে ভরা বাটি হাতে নিয়ে হাঁটছেন, যার শরীরজুড়ে রক্তের ছোপ (প্রতীকীভাবে ফিলিস্তিনিদের রক্ত)। তার পাশেই ট্রাম্পের মুখোশধারী একজন আছেন, যিনি নেতানিয়াহুকে সহায়তা করছেন এবং তার দেহেও রয়েছে প্রতীকী রক্তের দাগ।