বৃহস্পতিবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১২ বছর পূর্তিতে কর্মসূচি

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
এপ্রিল ২৪, ২০২৫ ৯:১৪ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১২ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে।

বৃহস্পতিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষে রানা প্লাজার সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।

পরে শ্রমিক সংগঠনগুলো রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে ফুল দিয়ে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করে। এ সময় রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা অংশ নেন।

পরে তারা সরকারের কাছে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসি দাবি করেন। সেখানে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

রানা প্লাজা ধসের এক যুগ পরেও স্বজনদের আহাজারি এখনো থামেনি।

সাভার বাসস্ট্যান্ডের রানা প্লাজা ধসের ঘটনা বিশ্ববাসীকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভয়াবহ এ ঘটনার এক যুগ পূর্তি হলো। ২০১৩ সালের এদিন ঘটে যাওয়া ঘটনা সারা বিশ্বে সবচেয়ে বড় শ্রমিক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনায় বেঁচে থাকা আহত শ্রমিকরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং আর্থিকভাবে ভালো নেই।

ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় একটি ব্যাংক, ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রীও পোশাকের দোকানের পাশাপাশি তৃতীয় তলা থেকে ৮ম তলা পর্যন্ত নিউ ওয়েব বটম্স, নিউ ওয়েব স্টাইল, প্যান্টস অ্যাপারেল্স, প্যান্টম টেক ও ইথারটেক লিমিটেডসহ ৫টি গামের্ন্টস ছিল।

দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকরা কেউ কেউ ছোট পরিসরে বিভিন্ন ব্যবসা আবার অনেকে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারিয়ে এখন সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে বেকার জীবনযাপন করছেন।

আহত শ্রমিক রহমানের অভিযোগ, সারা বছর কেউ তাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। দিবস আসলেই খোঁজ নেন। দিবস চলে গেলে খোঁজ খবরও নেওয়া শেষ।

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন, সুচিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুদানের টাকা আওয়ামী লীগ নেতা ও তৎকালীন সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও তার বড় স্ত্রীর বিরুদ্ধে রানা প্লাজার শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছেন শ্রমিক নেতারা। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আন্দোলনের সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, রানা প্লাজায় ধসের ২ মাস পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহত শ্রমিকদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিলেও ডা. এনামুর রহমানের বড় স্ত্রী রওশন আরা আমাদের আহত শ্রমিকদের নাম ঠিকানা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাবে বলে আমাদের থেকে তা নিয়ে কোনো টাকা আর আমাদের দেওয়া হয়নি।

নূরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওই ফান্ডে সাড়ে ৩ কোটি টাকা রওশন আরা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়া তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ওই সময় সংসদে বলেছিলেন, বিদেশ থেকে ব্যাংকে ১২৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। ব্যাংকে টাকা রাখার জায়গা নেই। অথচ ওই ফান্ড থেকে আমাদের শ্রমিকদের ২২ কোটি টাকা দিলেও ১০৫ কোটি টাকা কোথায় গেল।

তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এবং ওই সময়ের সরকারের সঙ্গে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন।

রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎকারীদের থেকে উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারকে দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা করা, যেসব ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা হয় নাই তাদের অ্যাকাউন্ট করা, রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অনুদানের টাকা আত্মসাৎকারী রাজনৈতিক নেতা, শ্রমিক নেতা ও এনজিওদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।

অপরদিকে রানা প্লাজায় আহত ও নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী এনামুর রহমান ও তার বড় স্ত্রীকেই দায়ী করেন বক্তারা।

এদিকে জানা গেছে, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেওয়ার মামলায় ঢাকার একটি আদালত সোহেল রানাকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়লে ২৯ এপ্রিল বেনাপোলে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।

বাংলাদেশ গামের্ন্টস অ্যান্ড শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রফিকুল সুজন বলেন, এক যুগ পেরিয়ে গেল রানা প্লাজায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের মামলার নিষ্পত্তি এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। রানার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক এবং পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, দুই হাজারের অধিক আহত পঙ্গু শ্রমিকদের সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি, এখনও চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে শ্রমিকরা।

বক্তারা রানা প্লাজার জায়গা ও সম্পদ সরকার অধিগ্রহণ করে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করে শ্রমিকদের আজীবন চিকিৎসা প্রদান, এক জীবন আয়ের সমপরিবার ক্ষতিপূরণ প্রদান, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা, ২৪ এপ্রিলকে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করার দাবি জানান। তারা বলেন, আমরা দাবির বাস্তবায়ন চাই।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে নানামুখী কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ বেদিতে সাভার-আশুলিয়ার-ধামরাইসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও নিহত শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজন সকাল ৯টা হতে দিনব্যাপী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিছিল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করছে সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ গামের্ন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, বুধবার রাতে রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী শহিদ বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি বিশ্বের একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী শ্রমিক দুর্ঘটনা। ভয়াবহ এ ঘটনায় এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত এবং আহত ২ হাজার ৪৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।

 

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নারায়ণগঞ্জ এলএ শাখার সার্ভেয়ার মামুন এর খুঁটির জোর কোথায়

শেখটোলা উকিল টোলা ক্বাজী ষ্টোর বনাম কিং ষ্টার ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

মারা গেলেন পরীমনির প্রথম স্বামী

এলজিইডি’র ৫ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ, চরম দুর্ভোগে দুই উপজেলার মানুষ

জলঢাকায় হাজী কল্যান সমিতির ত্রি বার্ষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে জোরপূর্বক প্রতিপক্ষের গাছ কর্তনের অভিযোগ

উত্তরাঞ্চলে হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে: তারেক রহমান

বাজারে এখন অস্বস্তি শুধু চালের দামে

আওয়ামী লীগ গায়ের জোরেই চতুর্থ সংশোধনী আইন পাস করে: তারেক রহমান