৮ ঘণ্টায় একদিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতিমাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা তিন মাসের সমপরিমাণ। মূল বেতন হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয়, এর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হতো। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার যাত্রীর যাত্রা অনিশ্চিত: চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন মিলে প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। কর্মবিরতির ঘোষণায় আজ ট্রেন চলাচল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এতে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে অনেকে বিপাকে পড়েছেন।
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোর ৭টায় ঢাকায় উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল। টিকিটও কিনেছি। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। রেলওয়ের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত কিছু জানানো হচ্ছে না।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা রেলের আইনে বেতন চাচ্ছি। আইনের বাইরে কিছু চাচ্ছি না। রোববার আমাদের প্রতিনিধি সভা হয়েছে। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আর কোনো বৈঠকে বসব না। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। ইউনিয়নের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক গোলাম শাহরিয়ার বলেন, আমরা দাবিতে অনড়। মধ্যরাত (সোমবার) থেকে ট্রেন চালাব না।
রাজশাহীর চিত্র একই: রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসাবে রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।