সোমবার , ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

শিশুদের জন্য দেশিয় সংস্কৃতির রঙ ছড়িয়েছে যমুনার ‘ফিউচার ওয়ার্ল্ড’

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
এপ্রিল ১৪, ২০২৫ ৬:২১ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষকে আরও বর্ণিল ও আনন্দময় করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ শাপিং মল যমুনা ফিউচার পার্ক। এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আগত দর্শনার্থীরা ছিলেন যেনো এক আনন্দ ভুবনে। পাশাপাশি এই আনন্দ আরও বহুগুণ বাড়াতে দেশিয় সংস্কৃতির সব রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে ‘ফিউচার ওয়ার্ল্ড’।

দেশের স্বনামধন্য গ্রুপ অব কোম্পানিজ ‘যমুনা গ্রুপের’ এই প্রতিষ্ঠানটি পহেলা বৈশাখে শিশুদের জন্য আয়োজন করে এক ভিন্ন ধরনের উৎসব। যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল জায়গায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে আসা শিশুরা। সোমবার সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে আধুনিকতা ও আভিজাত্যের আবহে ফিউচার ওয়ার্ল্ডের বর্ষবরণের এ আয়োজনে ছিল-ঢাকা ড্যান্স অ্যান্ড আর্ট সেন্টারের ৩০ জন শিক্ষার্থীর নৃত্য পরিবেশনা, কাকতাড়ুয়া পাপেট হাউজের পুতুল শো, শিশুদের জন্য রোবট নিয়ে খেলা ও মহাকাশের জ্ঞান বিকাশে আয়োজন করে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প। এছাড়া আরও ছিল নেহজারিয়া আর পণ্যপথের মেহেদী উৎসব ও ফেস আল্পনা।

সেই সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিশু শিল্পীদের যমুনা ফিউচার পার্কের পক্ষ থেকে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের ডেপুটি ম্যানেজার (বিনোদন শাখা) রুমানা শারমিন যুগান্তরকে বলেন, মূলত শিশুদের জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের ফিউচার ওয়ার্ল্ড পহেলা বৈশাখে একটি ব্যতিক্রমধর্মী উৎসবের আয়োজন করেছে। যেখানে ঢাকা ড্যান্স অ্যান্ড আর্ট সেন্টারের ৩০ জন শিক্ষার্থীরা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গানে নৃত্য পরিবেশন করেছে। পাশাপাশি আয়োজনের মধ্যে পৃথক তিনটি স্টলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া ফিউচার ওয়ার্ল্ডের ভেতরে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের রাইড উপভোগ করেছে। সব মিলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল জায়গায় শিশুরা অনেক আনন্দ ও আনন্দে মেতে ছিল।

ফিউচার ওয়ার্ল্ডে বৈশাখী আয়োজনে গুলশান-১ থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে এসেছে ১০ বছর বয়সি নাজিফা আক্তার। নাজিফা জানায়, বাইরে অনেক গরম। তই বাবা-মা যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে নিয়ে এসেছে। এখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকায় ঘুরে স্বস্তি লাগছে। পাশাপাশি এখানে এসে বিভিন্ন রাইড উপভোগ করেছে। সঙ্গে বৈশাখী আয়োজনের নৃত্য দেখা ও স্টল ঘুরে দেখতে তার অনেক ভালো লেগেছে।

আয়োজনে অংশ নেওয়া নেহজারিয়ার উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈমা খান চেরি যুগান্তরকে বলেন, আমরা এই পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মেহেদী উৎসব ও ফেস আল্পনার আয়োজন করেছি। এখানে আসা শিশুদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও গালে আল্পনা আঁকিয়েছেন। সঙ্গে মেহেদীও দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের এই আয়োজনে কো-পার্টনার হিসেবে ছিল পণ্যপথ।

অন্যদিকে কাকতাড়ুয়া পাপেট হাউজের জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লিনসা বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে পুতুল তৈরি ও বিক্রি করেন। পাশাপাশি পুতুল নাচও প্রদর্শন করেন। ফিউচার ওয়ার্ল্ডেও এই বৈশাখের আয়োজনে তারা পুতুল নাচ প্রদর্শন করছেন। সঙ্গে বিক্রিও করছেন। এখানে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন।

স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের ক্যাম্পের চিফ কোঅর্ডিনেটর শহিদ হোসেন বলেন, চার থেকে ১৬ বছরের শিশুদের আমরা মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি। সঙ্গে মহাকাশের বিভিন্ন বিষয়ে শিশুদের জ্ঞান অর্জন নিয়েও কাজ করছি। পাশাপাশি এখানে রোবটের মাধ্যমে শিশুদের জন্য খেলার আয়োজনও রেখেছি।

এদিকে ফিউচার ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি এদিন যমুনা ফিউচার পার্কে রোমাঞ্চকর অনুভূতির হরেকরকম রাইডে চড়া আর ব্লকবাস্টার সিনেমাসে একাধিক সিনেমা দেখার সুযোগ ছিল। পাশাপাশি যমুনা ফিউচার পার্কের ফুডকোর্টে ছিল নানা ধরনের খাবারের আয়োজন। তাই পহেলা বৈশাখে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এদিন যমুনা ফিউচার পার্কে ছুটে আসেন। কেউ সপরিবারে, কেউ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে দল বেঁধে, কেউ আবার এসেছেন জুটি বেধে।

বর্ষবরণ উপলক্ষে তারাও সেজেছিলেন বর্ণিল সাজে। লাল-সাদা তাঁতের শাড়ি, মাথা ও খোঁপায় ফুলের মালা, হাতে রেশমি চুড়ি ছিল নারীদের সাজে। পুরুষের পরনে ছিল বাহারি রঙের পাঞ্জাবি। অনেকের মাথায় ছিল রঙিন গামছা। তীব্র রোদ পেরিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলে প্রবেশই ছিল সবার লক্ষ্য। যেন বৈশাখের সব আনন্দ উপভোগের কেন্দ্রবিন্দুই এটিই।

এভাবেই বর্ষবরণের দিনে যমুনা ফিউচার পার্ক পরিণত হয় রাজধানীর বুকে এক অন্যরকম আনন্দের ভুবনে। এ আনন্দে শামিল হতে ভুল করেননি বিদেশিরাও। সোমবার সকাল থেকে শপিংমলে দলে দলে নানা বয়সের মানুষ জড়ো হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্কে মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই শপিংমলের ভেতরে-বাইরে লোকারণ্য। বৈশাখী উৎসব পালন চলে রাত পর্যন্ত।

সর্বশেষ - সংবাদ