নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা: ভুক্তভোগীর থানায় অভিযোগ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানা-পুলিশ। জানা যায়, শনিবার ১লা মার্চ সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময়ে, রামারবাগ এলাকার মৃত মারফত আলীর ছেলে সাংবাদিক রাহাদুল ইসলাম রবিনের ওয়াই-ফাই অফিসে ঢুকে আতর্কিত হামলা চালায়, ফতুল্লা থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক- সস্তাপুর এলাকার মহব্বত আলীর ছেলে এস কে শাহীনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিকের একটি গ্রুপ।
অভিযোগে দেখা গেছে এসকে শাহীন ও তার দল-বল নিয়ে জোর পূর্বক অফিসে ঢুকে ভাংচুর করে নগদ ২ লক্ষ টাকা, ৩ লক্ষ টাকার ওয়াই-ফাই সরঞ্জামাদি, একটি কেমেরা লুট করে নিয়ে গেছে। ওয়াই-ফাই মেশিন ভাংচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় লুটে নেওয়া নগদ অর্থ, মেশিনারিজ,কেমেরা-সহ আনুমানিক ৭/৮ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ধারণা করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফতুল্লা থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী সাংবাদিক রাহাদুল ইসলাম রবিন বলেন, আমি একটা ব্যাক্তিগত কাজে নারায়ণগঞ্জ শহরে ছিলাম।
সন্ধ্যার পরে এলাকার লোকজন আমাকে ফোন করে জানায়, আমার ওয়াই-ফাই অফিসে ঢুকে ভাংচুর করেছে সস্তাপুর এলাকার এসকে শাহীনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিকের একটি গ্রুপ। আমি এসকে শাহীনের সাথে ফোনে কথা বলি ভাই আপনি আমার অফিস ভাংচুর করেছেন কেনো, কি অপরাধ আমার ? তিনি বলেন একটু ভুলবুঝা হয়েছে আপনি আসেন আমি আপনার এলাকায় আছি।
আমি এসে ওনাকে পাইনি। দেখি অফিসের থাই গ্লাস, ওয়াই-ফাই মেশিন, চেয়ার টেবিল সব ভাঙ্গা। অফিসের ড্রয়ারে রক্ষিত ২ লক্ষ টাকা, কেমেরা,প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ওয়াই-ফাই মেশিনারিজ অফিসে নাই। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করি পুলিশ ঘটনাস্থল এসে পরিদর্শন করেছেন।
বর্তমানে আমি আমার পরিবার ও এলাকাবাসী আতংকের মধ্যে আছি। তারা হামলা- ভাংচুর লুট করে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়েছেন এ ঘটনায় থানা-পুলিশ বা মামলা করা হলে জানে মারিয়া ফেলবো বলে উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছি। নিরাপত্তা ও বিচারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।