বৃহস্পতিবার , ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

রাজধানী ডেমরায় ওয়াহিদুল তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
অক্টোবর ২৪, ২০২৪ ৬:০৫ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানী ডেমরা, বামৈল, কলাবাগান ও বড় ভাঙ্গা এলাকায় ওয়াহিদুল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা সহ অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের সন্ধান মিলে। জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালে মাথার নিচে ইট দিয়ে ঘুমানো সেই ওহিদুল আজ শত কোটি টাকার মালিক।

তাহলে কিভাবে অল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেলেন ওয়াহিদুল নামের এই ব্যক্তি? ওয়াহিদুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বামৈল, কলাবাগান ও বড় ভাঙ্গা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন তিনি। তার মধ্য ডগাইরে রয়েছে ৫ কাঠা জমি, কলাবাগান রয়েছে ৪ কাঠা জমি, তার নিজ নির্মিত চার তলা বাড়ি চার কাটার উপর, বামৈল এ রয়েছে তার অনেক জায়গা।

এই অবৈধ সম্পদ কারো নজরে আসার আগেই অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার জন্য দুইটি মিনি গার্মেন্টস চালু করেন তিনি। গার্মেন্টস ব্যবসা হলেও গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল ওয়াহিদুল এর লাঠিয়ার বাহিনী। প্রয়োজনে এলাকায় নিজেকে টিকিয়ে রাখতে এবং অবৈধ সম্পদকে বৈধ করতে এই শ্রমিক নামে লাঠিয়ার বাহিনী ব্যবহার করতেন তিনি।

বর্তমানে ওয়াহিদুল ইসলাম যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়িও রাউজুক এর নকশা বহির্ভূত বলে জানা যায়। এছাড়াও ওয়াহিদুল এর নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা রমরমাট চালিয়ে আসছে হোসেন, হৃদয়, সেলিম ও আশরাফুল। কিছুদিন আগে ইয়াবার মামলায় আসামি আশরাফুল জামিনে বের হয়ে আসে।

গত পহেলা সেপ্টেম্বর ওয়াহিদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে এমব্রয়ডারি মেশিন ট্রাক গাড়ি দিয়ে নেওয়ার সময় রসুল নগর (আহমাদে) জামে মসজিদ কলাবাগান রাস্তার মোড় এলাকায় গাড়ি আসলে রাস্তা ছোট থাকায় সেখান থেকে এমব্রয়ডারি মেশিন সহ গাড়ি মোড় নিতে ব্যর্থ হলে রাস্তার পাশে থাকা মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মিজানুর রহমান রঞ্জিত এর জায়গার ইটের দেয়াল ভেঙ্গে রাতের ১১ টার দিকে ট্রাক গাড়ি এমব্রয়ডারি মেশিন তাদের গার্মেন্টসে পৌঁছায়, এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান রঞ্জিত ওয়াহিদুল এর নিকট দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান রঞ্জিত কে মেরে ফেলার হুমকি ও গালাগালি করে।

মিজানুর রহমান রঞ্জিত বলেন এই ঘটনার দুই দিন পরে ৩ অক্টোবর আসরের নামাজের পরে আমার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র, রট ও লাঠি নিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন ওয়াহিদুলের গার্মেন্টসের সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা দেয়। তখন আমি বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই।

স্থানীয় দোকানদার ও এলাকার লোকজনের কাছে জানতে চাইলে তারাও অস্ত্রসহ মিজানুর রহমান রঞ্জিত এর বাড়িতে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সহযোগিতা ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় মিজানুর রহমান রঞ্জিত।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত