কমছে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড়ের পরিমাণ। কিন্তু বিপরীত দিকে বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) আগষ্ট পর্যন্ত করা এক প্রতিবেদনের এসব তথ্য জানাগেছে। সোমবার সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে দেখাগেছে গত আগষ্ট মাস পর্যন্ত উন্নয়নসহযোগীদের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল রয়েছে ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার এবং সুদ হচ্ছে ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের আগষ্ট মাস পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি ৫ লাখ ডলার।
এর মধ্যে আসল ২৫ কোটি ৪১ লাখ এবং সুদ ১৪ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। তুলনামূললকভাবে এ ই আগষ্ট মাসে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি ডলার। এর কারণ হিসেবে জানাযায়, এখন বেশ কিছু বড় বড় ঋণের রেয়াতকাল শেষ হয়েগেছে। ফলে পরিশোধের চাপ বেড়েছে। আগামী বছরগুলোতে এই পরিশোধের চাপ আরও বড়বে।
ইআরডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগষ্ট মাস মাস উন্নয়নসহযোগীরা প্রতিশ্র“তি দিয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে কোন ঋণ নেই। আছে শুধু অনুদান। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্র“তি এসেছিল ১১ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ১০ কোটি ৯০ লাখ এবং অনুদান ছিল ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ডলার।
এদিকে গত আগষ্ট মাসে কমেছে অর্থছাড়ের পরিমানও। উন্নয়নসহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ছাড় করেছে ৪৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এর মধ্যে ঋণ ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ এবং অনুদান ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
এর মধ্যে ঋণ থেকে ছাড় হয় ৭২ কোটি ৭২ লাখ ডলার আর অনুদান ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে খোজ নিয়ে জানাগেছে, জুলাই ও আগষ্ট মাসে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়েছিল। সেই সঙ্গে আগষ্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উন্নয়নসহযোগীরাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। ফলে ওই সময়ে অর্থছাড় কম হয়েছে।