গত কয়েক বছরে ঈদে যত নাটকে দেখা গেছে তাসনিয়া ফারিণকে, এবার তেমনটা হবে না। গত কয়েক মাস নতুন কোনো নাটকে অভিনয়ও করেননি। তবে ভালোবাসার দিবস উপলক্ষে তৈরি একাধিক নাটক প্রচারের সম্ভাবনা আছে—এমনটা জানালেও নিশ্চিত করে কিছুই বলেননি ফারিণ। শোনা যাচ্ছে, ঈদের পর মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করবেন। ‘ইনসাফ’ নামের সেই ছবির পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার। ইনসাফ ছবির আগেই এবারের ঈদে এই অভিনেত্রীর একটি ওয়েব ফিল্ম মুক্তি পাচ্ছে। কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘হাউ সুইট’ নামের এই ওয়েব ফিল্মে তাঁর সহশিল্পী অপূর্ব। এরই মধ্যে হাউ সুইট ছবির ট্রেলার এবং গান প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে ঈদের আগে যুক্তরাজ্যে উড়াল দিয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ, কারণ সেখানে চাকরি করেন এই তারকার স্বামী শেখ রেজওয়ান।
তাসনিয়া ফারিণছবি : ফারিণের সৌজন্যে
তাসনিয়া ফারিণ জানান, যুক্তরজ্যের বার্মিংহামে থাকেন তাঁর স্বামী শেখ রেজওয়ান। দেশটিতে আছেন তাঁর মামা–মামির পরিবারও। এদিকে ঈদের আগে স্বামীর কাছে যাওয়ার উপলক্ষ্যে লাগেজ ভরে নানা কিছু নিয়ে যেতে হয়েছে। নিজে যেমন কেনাকাটা করেছেন, স্বামীর জন্য তেমনি শেখ রেজওয়ানের মা–বাবা এবং শ্বশুর–শাশুড়ির দেওয়া জিনিসপত্রও নিয়ে গেছেন তিনি।
আট বছরের সম্পর্কের পর ২০২৩ সালের আগস্টে শেখ রেজওয়ানকে বিয়ে করেন তাসনিয়া ফারিণ। যখন ফারিণ কলেজে পড়তেন, তখন থেকেই সম্পর্ক। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে থেকেই বন্ধুত্ব ছিল ফারিণ আর রেজওয়ানের। ফারিণ দেশে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও রেজওয়ান যুক্তরাজ্যে চাকরি করেন। বিয়ের পর একবার তাঁরা দুজন ঈদ উদ্যাপন করেন তুরস্কে। এবার যুক্তরাজ্যে কাটবে।
প্রথম আলোকে তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘এখানে আসার আগে অনেক কিছু নিয়ে আসছি। পাঞ্জাবি, শার্টসহ যা যা আছে। আম্মু ইলিশ মাছ ভেজে বক্সে করে পাঠিয়েছেন। রেজওয়ানের বাসা থেকে কোপ্তা রান্না করে দিয়েছে। আচার বানিয়ে পাঠিয়েছে। মসলাপাতি যা যা আছে সবই নিয়ে আসা লাগছে। লাগেজে এমন অবস্থা, আমার কিছুই ছিল না, সবই আমার স্বামীর। লন্ডনে এখন ঠান্ডা, তাই ওর পাঞ্জাবি কেনার ক্ষেত্রে মোটা কাপড়ের কিনতে হয়েছে। তা ছাড়া এখানে কেউ কালারফুল কিছু পরে না, তাই হালকা রঙের কাপড় নিয়েছি। আমি নিজের জন্য কোনো কেনাকাটা করি না। আম্মু আমাকে গিফট করেছেন, শ্বশুরবাড়ি থেকেও শাড়ি–কাপড় উপহার পেয়েছি, ওইগুলো নিয়ে এসেছি।’
বিয়ের আগের ঈদ আর এখনকার ঈদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পান—এমন প্রশ্নে ফারিণ বলেন, ‘পার্থক্য বলতে আমি তো এখন লন্ডনে। সে হিসেবে বলতে পারি, এটা তো অবশ্যই ভিন্ন রকম। আমার পরিবার ঢাকায়, তাঁদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না। এখানে আমার মামা-মামি আছেন, তাঁদের এখানেই আছি। ঈদ তাঁদের সঙ্গে হবে। এরপর স্বামীর সঙ্গে তাঁর বাসায় যাব।’
জানা গেছে, মাসখানেক যুক্তরাজ্যে থাকার পর বাংলাদেশে ফিরবেন তাসনিয়া ফারিণ। ফিরে এসেই নতুন কাজ শুরু করবেন।