গোলাপ শাহ মাজার হলো একটি মাজার। এটি ঢাকার গুলিস্তানের শহীদ নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে অবস্থিত। এটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে থাকে। মাজারটিতে দুটি সমাধি রয়েছে যা দেখতে হলে উত্তর দিক থেকে প্রবেশ করতে হয়। সমাধিগুলো গোলাপ শাহ ও তার ভাইয়ের কবর বলে জানা যায়। এর আগের নাম নিমগাছওয়ালা মাজার ছিল। মাজারটিতে একটি অস্থায়ী মসজিদ ছিল যা ১৯৮০-এর দশকে ওসমানী উদ্যানের নিকটে স্থানান্তরিত হয়।
মাজারটির উৎপত্তির ইতিহাস অজানা। কিংবদন্তি অনুযায়ী মাজারটিতে গোলাপ শাহ নামে একজন আধ্যাত্মিক নেতার সমাধি রয়েছে যিনি ১৯শ শতাব্দীতে ইয়েমেন বা ইরাক থেকে ব্রিটিশ ভারতে এসেছিলেন।
তবে ঐতিহাসিকরা বলেন যে মাজারের স্থানে অতীতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সমাধি ছিল এবং পরে লোকেরা এটি কোনও আধ্যাত্মিক নেতার বলে বিশ্বাস করে জিয়ারত করতে শুরু করে।
গোলাপ শাহ নামক এক ব্যক্তি সমাধির দেখাশোনা করতেন এবং মৃত্যুর পর তাকে সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়। পরে লোকজন একে গোলাপ শাহের মাজার বলে ডাকতে শুরু করে।
মাজারটি নবদম্পতিদের কাছে জনপ্রিয় এবং বিশ্বাস রয়েছে যে মাজার জিয়ারত করলে দম্পতিদের জীবন সুখের হবে। এখানে প্রতি বছর শাবান মাসের ১৯ তারিখে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মাজার কাঠামো সম্প্রসারণ শুরু করে যার ফলে মাজারটির পটভূমি অজানা ও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ব্যাপার তুলে ধরে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
২০২৩ সাল অনুযায়ী মাজারে গোলাপ শাহের অনুসারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৳৯ লাখ অনুদান প্রাপ্তি হয়ে থাকে।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা মাজারে সংগৃহীত অনুদান থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
লেখক,দার্শনিক, সাংবাদিক মোঃ আল আমিন