রবিবার , ৬ জুলাই ২০২৫ | ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

পবিত্র আশুরা

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ৬, ২০২৫ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

পবিত্র আশুরা আজ। ইসলামি বর্ষ পরিক্রমার প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) আশুরা নামে অভিহিত করেছেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হিজরি ৬১ সালের এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে ঐতিহাসিক কারবালা প্রান্তরে যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে, তা সমগ্র মুসলিম জাহানকে শোকে-বেদনায় স্তব্ধ করে দিয়েছিল। মহররম মাস এলেই কারবালার সেই বেদনাবিধুর স্মৃতি জেগে ওঠে, প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। আশুরা মুসলিমদের জন্য ত্যাগ, আত্মসংযম ও সত্যের পথে অটল থাকার শিক্ষা দেয়। আশুরার আগে ও পরে একদিন রোজা রাখা সুন্নত। এছাড়া এই দিনে সাধ্যমতো দান-সদকা করা, বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া ও কুরআন তেলাওয়াত করা, কারবালার ঘটনা স্মরণ করে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করা উচিত। তবে শোকের নামে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি বা অন্যায় কাজ করা উচিত নয়। কারবালার ঘটনার শোককে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার হিংসা বা বিদ্বেষ যাতে না ছড়ায়, প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সেদিকেও নজর রাখা উচিত।

কারবালা প্রান্তরে নৃশংস ঘটনা যখন ঘটে, তখন মুসলিম জাহানে চরম অরাজকতা চলছিল। ইসলামের চার খলিফার স্বর্ণযুগ তখন অতীত। মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদ তখন রাজতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর। প্রিয় নবীর (সা.) দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এই অন্যায় মেনে নিতে পারেননি। ন্যায় ও সত্যের পতাকা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সুদৃঢ় শপথ নিতে তিনি ইয়াজিদের বিরুদ্ধে এক অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। সে যুদ্ধ ছিল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার। ইয়াজিদ যুদ্ধের সব রীতিনীতি ভেঙে হত্যা উৎসবে মেতে ওঠে। কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন ও সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নির্মমভাবে শহীদ হন রাসূল দৌহিত্র। সত্যের পথে অসীম সাহসী বীর হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তার স্বজন ও সহযোদ্ধারা মৃত্যু অবধারিত জেনেও আপসহীন যুদ্ধ করে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। এমন দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। ইয়াজিদ বাহিনী ফোরাতের তীর অবরুদ্ধ করে ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার সহযোদ্ধাদের দিনের পর দিন একবিন্দু পানিও পান করতে না দিয়ে তাদের নিদারুণ কষ্ট দিয়েছে। পিপাসায় কাতর হয়ে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু ইসলামের মহান শিক্ষা ইমানের পথ থেকে তারা মুহূর্তের জন্য বিচ্যুত হননি। আশুরার এই দিনটি মূলত মুসলমানদের জন্য কারবালার সেই দুঃসহ স্মৃতিই বহন করে আনে। এ শোকাবহ স্মৃতিকে মানসপটে রেখে ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগির নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম।

ন্যায় প্রতিষ্ঠার কঠিন সংগ্রামে অসীম সাহসের সঙ্গে আপসহীন লড়াই করে কীভাবে প্রয়োজনে আত্মবিসর্জন দিতে হয়, সেই শিক্ষা আমরা লাভ করতে পারি কারবালার মর্মন্তুদ ঘটনা থেকে। লোভ ও হিংসার ব্যাপকতায় আজ বিশ্বের দেশে দেশে মানবতা হয়ে পড়ছে বিপন্ন। মুষ্টিমেয় মানুষের লোভের কাছে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর শান্তিতে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এ সময়ে কারবালার মহান আদর্শে আমরা উজ্জীবিত হতে পারি। ন্যায়ের প্রতি অবিচল নিষ্ঠাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে সব অন্যায় ও অশান্তি থেকে। পবিত্র আশুরায় তাই প্রার্থনা-সত্যের উজ্জ্বল আলোয় দূর হোক মিথ্যার কালিমা। জয় হোক ন্যায় ও সত্যের।

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঝিনাইগাতীতে অবৈধ বালু উত্তোলন কারিদের হামলায় পিতা পুত্র আহত

রিয়াদে চাঁদপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও লাখো মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

এখন পযন্ত ৯ টি মাজার ভাংচুর করা হয়েছে

বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ এখন নিরাপদ: গয়েশ্বর

বজ্রপাতের আগুন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন অফিস

মাদারগঞ্জের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কারাগারে, মুক্তির দাবিতে চলছে হরতাল

স্বৈরাচার ঘাতক নির্মূল কমিটি অতি শীঘ্রই আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে

রূপসায় র‍্যাবের হাতে ২০০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

বারহাট্রা উপজেলা বিএনপি সম্মেলন অতি শীঘ্রই