গিয়াস উদ্দীন (বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা): বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সাথে ইমাদ পরিবহনের চালকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় মাদ্রাসাঘাট এলাকা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনায় ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ১২ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সূচনা খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ছাত্র আন্দোলনের একটি গাড়ি মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে ইমাদ পরিবহনের একটি বাসের চালকের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ইমাদ পরিবহনের চালক স্থানীয় কাউন্টারে ফোন করলে কালু নামের এক ব্যক্তি ও আরও ৪-৫ জন ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেন। পরিস্থিতি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ালে ছাত্ররাও নিজেদের সহযোগীদের ডেকে নেয়।
ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সংঘর্ষ চলাকালে মাদ্রাসাঘাট এলাকায় অন্তত ১০টি দোকান, কয়েকটি বাড়ি, বিদ্যুৎ মিটার, ডিপ ফ্রিজ এবং তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। একইসাথে কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষে ছাত্র আন্দোলনের ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় এক ভ্যানচালকসহ আরও দুইজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ খবর পেয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে সংঘর্ষ থামলেও এলাকাজুড়ে এখনো থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ছাত্রদের স্লোগান ও প্রতিবাদ উত্তেজিত ছাত্ররা এখনো মাদ্রাসাঘাট এলাকায় অবস্থান নিয়ে পুলিশের সামনেই স্লোগান দিচ্ছে এবং প্রতিবাদ সংগীত গাইছে। তাদের দাবি, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন তারা চালিয়ে যাবে।
তদন্ত ও স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার। এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।