আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ।
আইনজীবী তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, নির্বাচন কমিশন এবি পার্টির নিবন্ধনের দরখাস্তটি নামঞ্জুর করে নিবন্ধন বঞ্চিত করেছিল। সেই নামঞ্জুর করাটাকে হাইকোর্ট অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। এই রায়ের অনুলিপি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিতে বলা হয়েছে।
স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছেড়ে আসা ও দলটির বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা মিলে ২০২০ সালের ২ মে গড়ে তোলেন আমার বাংলাদেশ- এবি পার্টি। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেন এর আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। গত বছর ২৪ জুলাই আবেদনটি খারিজ করে নির্বাচন কমিশন। পরে এই খারিজ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এ এফ এম সোলায়মান।
প্রাথমিক শুনানির পর ৩১ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দলটিকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং নিবন্ধন আবেদন খারিজ আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও উপসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এই রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর রায় দিলেন উচ্চ আদালত।