কারা ও পুলিশ হেফাজতে গত ২০ বছরে দেশে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা জনতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদন আকারে এ তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থের এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
গত ১০ জুন দেওয়া আদেশের বিষয়টি শনিবার কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। অমিত দাশ গুপ্ত কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে ওই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে হলফনামা করে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
জানা যায়, ‘চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির অস্বাভাবিক মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ পরিবারের’ শিরোনামে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি ইংরেজি দৈনিক। একইদিনে একটি বেসরকারি টেলিভিমন চ্যানেলের অনলাইন সংস্করণেও প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চোলাই মদ বিক্রির সময় বোয়ালখালী থানা পুলিশের একটি দল গত ২৭ জানুয়ারি রাতে বাড়ির পাশ থেকে রুবেল দে নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ তার কাছ থেকে ২০০ লিটার মদ জব্দ করে। পরে বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আবু মুসা বাদী হয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জ্যৈষ্টপুরার বাসিন্দা সুনীল দের ছেলে রুবেল।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩৮ বছর বয়সী রুবেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কারাগারের ৩ নম্বর পদ্মা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন। রুবেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তার স্বজন অভিযোগ তুলেছে, কারাগারে ভেতরে কারারক্ষী বা অন্য কয়েদিরা তাকে নির্যাতন করেছেন।
এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল আইনি সহায়তা ও মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন। নোটিশে রুবেল দের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক তদন্তের পদক্ষেপ এবং তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে অনুরোধ করা হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ৩৮ বছর বয়সী রুবেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কারাগারের ৩ নম্বর পদ্মা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন। রুবেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তার স্বজন অভিযোগ তুলেছে, কারাগারে ভেতরে কারারক্ষী বা অন্য কয়েদিরা তাকে নির্যাতন করেছেন।
এ ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল আইনি সহায়তা ও মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেন। নোটিশে রুবেল দের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারিক তদন্তের পদক্ষেপ এবং তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে অনুরোধ করা হয়।