শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন হয়। আবার অনেকেই শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করায় শীতে নিজেকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেন। এ জন্য নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন অনেকে। কিন্তু কিছুদিন খাওয়ার পর দেখা যায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
Advertisement: 0:09
শীতে শারীরিক দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খেলে উপকার মেলে। এসবের মধ্যে অন্যতম সাইট্রাস ফল, রসুন, দই ইত্যাদি। যা আপনাকে সুস্থ থাকার যাবতীয় উপাদান সরবরাহ করবে। আর সম্প্রতি এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
সাইট্রাস ফল: লেবু, মোসাম্বি লেবু, কমলা লেবু ও আঙুর হচ্ছে সাইট্রাস ফল। এ জাতীয় ফল ভিটামিন সি-এর উৎস। এটি শরীরের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শ্বেত রক্তকণিকার প্রজন্ম বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আবার ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
আদা: আদা হচ্ছে দীর্ঘদিনের প্রাচীন ওষুধ। যা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের ছোট ছোট রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রদাহবিরোধী হিসেবে আদা ব্যাপক উপকারী। এছাড়া এটি খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে আপনাকে। বিশেষ করে যখন ক্লান্তি অনুভব হয়, তখন শরীর চাঙা করার জন্য অল্প পরিমাণ আদা খেতে পারেন।
রসুন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুন হচ্ছে সেরা উপাদান। অ্যালিসিন, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী-সহ একাধিক সালফার যৌগ রসুনের মধ্যে বিদ্যমান। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আবার সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
পালং শাক: এই শাকে ভিটামিন সি, ই এবং বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। এছাড়াও খনিজ রয়েছে। যা ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা আয়রন রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। আবার শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
দই: ভালো ব্যাকটেরিয়া হিসেবে দই খুবই পরিচিত ও উপকারী খাবার। এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ইমিউন কোষের উল্লেখযোগ্য শতাংশ পরিপাকতন্ত্রে থাকে। এ জন্য সুস্থ অন্ত্রের জন্য ইমিউন সিস্টেম প্রয়োজন। আর এটি ভালো রাখতে দই খেতে পারেন।
হলুদ: অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলীসহ উপাদান হলুদ। এতে কারকিউমিন নাম উপাদান বিদ্যমান। যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। আবার লিভারের ডিটক্সিফিকেশনেও সহয়তা করে। নিয়মিত হলুদ খাওয়ার ফলে ক্লান্তিও দূর হয়।
গ্রিন টি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলীর জর্ন্য বেশ পরিচিত গ্রিন টি। বিশেষ করে এতে থাকা ক্যাটিচিন উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ক্যাফিন উপাদান শরীর ও মন চাঙা করার পাশাপাশি মানসিকতাও ভালো রাখতে সহায়তা করে। পরিমিত পরিমাণ গ্রিন টি পানে আরও নানা ধরনের উপকার মিলে।