এম,শাহজাহান,(ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতা): শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পিতার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার দাবিতে হামিদা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের উত্তর ভারুয়া গ্রামে। হামিদা খাতুন ওই গ্রামের মৃত জায়ের উদ্দিনের ছেলে আলীমের স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর পুর্বে আলীম জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ডিগ্রিরচর গ্রামের হামেদ আলীর কন্যা হামিদার সাথে বিবাহ হয়।
বিয়ের পর হামিদা খাতুন স্বামীর সংসারের অভাব অনটন দুর করতে পিতার বাড়ি থেকে ধাপে ধাপে প্রায় ৫ লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র এনে দেন।
কিন্তু এর পরেও স্বামী আলিম, ভাশুর ইসলাম ও তার স্ত্রী রেহেনা সংসারের অভাব অনটন দেখিয়ে আরো ১ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য , হামিদার উপর নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। হামিদা খাতুন পিতার বাড়ির আর্থিক সমস্যা দেখিয়ে টাকা আনার কথা অপারগতা প্রকাশ করলে, ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে স্বামী আলিম,ভাশুর ইসলাম ও তার স্ত্রী রেহেনা হামিদা খাতুনকে বেধরক মারপিট করে।
মারপিটের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এক পর্যায়ে হামিদাকে ঘরে তালা বদ্ধ করে রাখে। ওই রাতেই ঘরের তালা খোলা হলে গৃহবধূ হামিদা খাতুন কৌশলে পালিয়ে অন্যবাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে ৮এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূ হামিদাকে তার দুই বছর বয়সি শিশু সন্তানসহ উপজেলা সদরের মহারশি নদীর ব্রীজপারে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
বর্তমানে হামিদা খাতুন ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এব্যাপারে গৃহবধূ হামিদা খাতুন বাদি হয়ে স্বামী, ভাশুর ও ভাশুরের স্ত্রীসহ ৩ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।