মঙ্গলবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৪ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ৬:৪২ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনাসভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত সব শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

একটা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমরা লড়াই করেছি, রক্ত দিয়েছি। আমরা এমনভাবে রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন করতে চাই যেন ফ্যাসিবাদ আর ফিরে আসতে না পারে।’

শহীদ নাসিব হাসান রিয়ান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে রাজপথে নেমেছে। মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে সে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।

নাসিব যখন লাঠি হাতে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখন নাসিবের বাবা তার ছেলের হাতের লাঠি পরিবর্তন করে শক্ত লাঠি তুলে দিয়েছেন। নাসিবের বাবার মতো অনেক অভিভাবক এভাবে আন্দোলনে উৎসাহ জুগিয়েছেন।

 

আন্দোলনে নিজের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘আমিও পরিবারের বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশ নিয়েছি।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রমাণক সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এসব প্রমাণক বারবার প্রচার করতে হবে, তা না হলে অনেকে আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে যাবেন।

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের দায়িত্ব নেবে সরকার। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার ও আহতদের প্রতি সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।

এ সময় তিনি শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে থাকার জন্য সরকারি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

 

আলোচনাসভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানের পিতা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. গোলাম রাজ্জাক। সভায় তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নাসিব হাসানের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে নাসিব হাসান রিয়ান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। মৃত্যুভয় তাকে আন্দোলনে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। শহীদ নাসিবের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়া, কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হলো না। সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে।’

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আব্দুল হালিম। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, সুধীজন ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে শহীদ নাসিব হাসান রিয়ানসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সবা শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাসিব হাসান রিয়ান। তিনি ঢাকার মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

 

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত