সারা দেশে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মানুষের যাতায়াতের সময় ২৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩০১ জন। গত ১৭ জুন বাদে ১১ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ঘটা দুর্ঘটনা এই হিসাবে ধরা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, সারা দেশে ঈদ-পূর্ববর্তী ১১ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ছয় দিনে ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৯ জন নিহত ও ১২৩ জন আহত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৯টি দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়। আর ঈদ-পরবর্তী ১৮ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত সাত দিনে ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত ও ১৭৪ জন আহত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে ১৩ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সারা দেশে তিন হাজার ৭৩৯টি মামলায় ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘এটা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে আগে যেমন প্রধান সড়কে রিকশা চলত না, এখনো তেমন চলবে না।
এটার নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।’
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তুলনায় আহতের সংখ্যা কেন কম হয় এমন প্রশ্ন জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসলে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট যানের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। এসব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা কম থাকে। ছোট যানবাহনের যাত্রীরা ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই মারা যান। একটা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ইজি বাইকের দুর্ঘটনা হলে পাঁচ-সাতজনের মৃত্যু হয়।
আহত থাকে না বললেই চলে।