বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের পরও উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা।

সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার পরও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

ঘটনাস্থলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো শুনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তাদের অভিযোগগুলোও শোনার কথা বলেন, কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাদের অবস্থানে অনড়-উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

 

এর আগে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যান হাসনাত আব্দুল্লাহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই আন্দোলনরত আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।

রাত ১২টায় হাসনাত আব্দুল্লাহ আহত আন্দোলনকারীদের জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বিদেশে আছেন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আছেন ঢাকার বাইরে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও আছেন ঢাকার বাইরে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ক্যান্সার তিনি ঢাকায় আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেন না। এজন্য নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য।

উনি হলেন, অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান। তিনি বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপচার্য।

 

তিনি বলেন, তিন উপদেষ্টার আসার সুযোগ নাই। এক জন বিদেশে, একজন ঢাকার বাইরে, একজন ঢাকায় আসছে। ঢাকায় আছেন নতুন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর সাইদুর।

আপনারা চাইলে তিনি আসবেন। উনার আসার প্রয়োজন। আপনারা যদি বলেন, উপদেষ্টার সঙ্গে বসবেন। তাহলে বুধবার ২টার পর উনারা সময় দেবেন। ছাত্র উপদেষ্টা, নতুন স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ উনারা থাকবেন।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ বলেন, আমরা উনারা না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করব এবং মৌখিক আশ্বাস নয়, লিখিত দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ করতে হবে।

সাইফুদ্দীন বলেন, তিন মাস পর শোনা লাগছে একজন ভাইয়ের হাত কেটে ফেলতে হবে। তাহলে কি চিকিৎসা এতদিন হয়েছে। আহতদের জন্য রক্ত কিনতে হয়। তথাকথিত বিদেশ থেকে আসা ডাক্তারদের অপচিকিৎসার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের বিদেশি ডাক্তারদের মুলা কেন দেখানো হলো।

 

শেখ হাসিনার মতো আচরণ করলে আমরা কিন্তু শেখ হাসিনার মতো পরিণতি তাদেরকে করে ছাড়ব।
আমরা যেমন হাসিনাকে নামিয়েছি তাদের তুলেছি। তাদেরকেও আমরা নামাব।