শুক্রবার , ৪ জুলাই ২০২৫ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড: মাহফুজ আলম

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জুলাই ৪, ২০২৫ ৮:২১ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তার মতে, আন্দোলনের প্রথম অংশ অবশ্যই মেটিকুলাসলি ডিজাইনড। তবে পরের অংশের কৃতিত্ব বিপ্লবী ছাত্র-জনতার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টার দাবি, ‘মব ভায়োলেন্স’ বা সংঘবদ্ধ আক্রমণের সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কোনো সম্পর্ক নেই।

অভ্যুত্থানের প্রথম এই অংশকে ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড’ বলে দাবি করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের দুটি অংশ। ৫ জুন থেকে ১৮ জুলাই। এই অংশে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং নেতৃত্ব তৈরি করেছিল। আর ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল স্তরের ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এবং আত্মদানে অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল।’

মাহফুজ আলম তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ‘৭১-এর মার্চের অসহযোগ আন্দোলন এবং বাঙালি-বিহারি দাঙ্গা সবই ছিল সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ফসল। সেসব ঘটনায় নেতৃত্ব যারা দিয়েছেন, তারা কেউই পাপবোধে ভোগেননি। বরং তাদের নিয়েই জাতি গর্ব করে।

তার প্রশ্ন, ‘যদি সিরাজুল আলম খান, তাজউদ্দিন আহমদ, সিরাজ শিকদার, মওলানা ভাসানী কিংবা শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানকে পরাজিত করতে মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ হতে লজ্জা না পান, তবে ‘২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান পরিকল্পিত হলে বর্তমান প্রজন্ম গর্বিত হবে না কেন?’

পোস্টে তিনি আরও দাবি করেন, ৩ জুলাইয়ের একদফা ঘোষণার আগে জাতিসংঘ ছাড়া কোনও বিদেশি শক্তি কিংবা সামরিক বাহিনীর বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা ছিল না এই অভ্যুত্থানে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বৈঠক করে আগরতলা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে, কোনো বিদেশি শক্তির সমর্থন ছাড়াই কেবল জনগণের অভ্যুত্থান ঘটিয়ে হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে পারলে নেতাদের গালি কেন শোনা লাগবে?

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানকে দুই পর্বে ভাগ করেছেন তিনি, ‘৫ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত সময়টিতে অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও নেতৃত্ব গড়ে তোলা হয়, যা ছিল নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত। এরপর ১৯ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সর্বস্তরের অংশগ্রহণে আত্মদানের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান সফল হয়।’

মাহফুজ আলম আরও জানান, ২ আগস্ট শুক্রবার রাতেও অভ্যুত্থান সামরিক মোড় নেওয়ার ঝুঁকিতে ছিল, তবে নেতৃত্বের দৃঢ়তায় সেই বিপদও এড়ানো গেছে। তথ্য উপদেষ্টার মতে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তার আগে পরিকল্পিত প্রস্তুতিও সমান অপরিহার্য।

সর্বশেষ - সংবাদ