স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘যদি পরিস্থিতি তৈরি হয়, দেশের প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনে করলে পদত্যাগ করব। আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি। তাই প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন, তাহলে পদত্যাগ করব।’
শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের একজন সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) দুই পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি সব সময় ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল। শুরু থেকেই তারা দেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল। যে কারণে ছাত্রদের কাছে আহ্বান, তাঁরা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান।
কারণ তাঁদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এর পরও যদি তাঁদের কোনো দাবি থাকে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সব সময় খোলা আছে। ছাত্ররা এখন ভুল আন্দোলন করছেন। তাঁদের আন্দোলন এখন তুলে নেওয়া উচিত।
এখন এটা ছাত্রদের কোটা আন্দোলনে নেই। এটা রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকা জেলা ও মহানগর, গাজীপুর ও নরসিংদীতে কারফিউ অব্যাহত থাকবে। তবে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে আজ রবিবার থেকে অসহযোগ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, এমন প্রেক্ষাপটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কী ভূমিকা রাখবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে বাধা দেওয়া হবে না।
তবে কেউ কারো ওপর আক্রমণ করলে সে তা প্রতিহত করতেই পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলে দিই, আমাদের শোকের মাস চলছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস। মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শাহাদাতবরণ করার পর থেকে এটা চলছে। এ মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।’