মৎস্য ও প্রাণিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিতে গিয়ে কৃষকের দিকটা সেভাবে দেখা হয় না। শহুরে মানুষের খাদ্য জোগান এবং দাম নাগালে রাখতে আমদানির মাধ্যমে কৃষকের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়। আমাদের খাদ্যে সার্বভেৌমত্ব অর্জন করতে হবে, যাতে ভোক্তা এবং কৃষক দুই পক্ষই উপকৃত হয়।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বণিক বার্তা আয়োজিত ‘কৃষি, নিরাপত্তা ও প্রাণ-প্রকৃতি’ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের কথা বলা হচ্ছে। সেটা করতে গিয়ে কোনো ক্ষতি করছি কি না সেটিও দেখতে হবে। কারণ গবাদিপশুর ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এখানে ভোক্তার দিকটাও দেখতে হবে যেন তারা নিরাপদ খাদ্য পান। আবার কৃষকের দিকটাও দেখতে হবে যেন তারা উত্পাদন করে লাভবান হন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় কৃষি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করি। কোনো প্রকার বাজার অ্যানালাইসিস ছাড়াই অনেক সময় এটা করা হয়। তখন কিন্তু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার যে বছর ভালো ফসল হয়, সেই বছর পণ্যের দাম পড়ে যায়, কৃষকের আয় কম হয়। শহুরে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে গিয়ে, দাম নাগালে রাখতে গিয়ে কৃষকের ক্ষতি করছি। অথচ কৃষকের উত্পাদন খরচ কমানোর দিকে নজর দেওয়া, তার টিকে থাকা নিশ্চিত করার দিকে ততটা মনোযোগ দেখা যায় না। ফলে খাদ্য নিরাপত্তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত খাদ্য সার্বভেৌমত্বে। এটা নিশ্চিত হলে কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের অধিকার নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, টি. কে. গ্রুপের ডিরেক্টর মোহাম্মাদ মুস্তাফা হায়দার, এসিআই এগ্রিবিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফএইচ আনসারী এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান।