২০১৮ সালের রাতের ভোটের পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে গ্রহণ করে প্রহসনমূলক নির্বাচনের কুশীলব ১২ জন সচিব মর্যাদার কর্মকর্তাকে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে। খবরটি স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে নির্যাতিত নিগৃহীত জনগণ, জুলাই-আগষ্ট, ২৪ বিপ্লবের ছাত্র-জনতা ও ‘বৈষম্য বিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ এর সব সদস্যকে আহত করেছে।
গত ৫ মে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত খবর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধানমন্ডি-৬-এ, প্লট নং-৬৩ মূলত সরকারের খাস জমি, সোনার চেয়ে দাম এ প্লটের ১২ কাঠা জমি স্বৈরাচারী হাসিনার সরাসরি নির্দেশে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং হাসিনার নির্দেশে ঐ জমিতে ১৪ তলা রাজকীয় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নিচতলাসহ দুই তলা পার্কিং, দুইটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট। ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট ২টির একটি ড. মোজাম্মেল হক খান, সাবেক কমিশনার, দুদক এবং অপরটি জহিরুল হক, সাবেক কমিশনার, দুদককে বিএনপি চেয়ারপার্সন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ভিন্ন মতের ব্যক্তিদের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগে হয়রানির পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। অন্য ফ্ল্যাট মো. ইউনুসুর রহমান, কাদের সরকার, ড. আসলাম আলম (বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে চেয়ারম্যান, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কর্মরত আছে), আকতারী মমতাজ, মো. সিরাজুল হক খান, মো. মনজুরুল বাছির, সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, এম গোলাম ফারুক ও আনিছুর রহমানকে প্রদান করা হয়েছে।
এ সব কর্মকর্তারা ২০১৮ সালের রাতের ভোটের উদ্যোক্তা। তারাই প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ও লুট-পাট এবং ক্ষমতার চরম অপব্যবহারে সহায়তা করেছে। তাই তাদের প্রত্যেকে একেকটি ১৯/২০ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট উপহার দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে মোজাম্মেল হক খান ও জাহিরুল হকের বিরুদ্ধে খোদ দুর্নীতি দমন কমিশন অন্যান্য দুর্নীতির জন্যে তদন্ত শুরু করেছে। এসব সচিব গত ১৫/১৬ বছর দলবাজী দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার কুমির হয়েছে। এদের অধিকাংশই মাণিলন্ডারিং এর সঙ্গে জড়িত ছিল।