নার্সিং পরীক্ষার কোনোকিছু না করেও এক লাখ ২০ হাজার টাকা সম্মানি পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তবে সম্মানির অর্থ গ্রহণ না করে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা নিজেই এ তথ্য জানান।
এর আগে অফিস সময়ে কোনো সভায় যোগদানের জন্য সম্মানি না নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা জারি করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এই নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো জিনিস চাপিয়ে দিলেই হয় না। আমি করেছি, নুরজাহান (স্বাস্থ্য উপদেষ্টা) আপা যদি মনে করেন তিনি করবেন।’
এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোতে দেখা যায় কোনো বোর্ড সভা হলে সেখানে সম্মানিত বোর্ড মেম্বর যারা আসেন, তাদের সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা সম্মানিত দেওয়া হয়। বাইরে থেকে যারা আসবেন তারা সম্মানি পাবেন। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে দুপুরের দিকে সভা হলে খাবার দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো সম্মানি দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী নার্সদের পরীক্ষার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত; যারা খাতা দেখেন তারা সম্মানি পাবেন। কিন্তু দেখা গেল নার্সিংয়ের ভাগ হিসেবে আমার কাছেও চলে আসল এক লাখ বিশ হাজার টাকার মতো। আমি এই টাকাটা ফেরত দিলাম। বললাম, আমি তো এ টাকা নিতে পারি না, আমি তো পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত না। এটা হবে কেন?’
নুরজাহান বেগম জানান, বিভিন্ন সভার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ থাকে। উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তবে কে সম্মানি গ্রহণ করবেন আর কে করবেন না; এ বিষয়ে কাউকে জোর করার দরকার নেই বলে জানান তিনি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানান উপদেষ্টা।