সোমবার , ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

শিক্ষার্থীদের সংঘাতে সরকারের দায় দেখছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
জানুয়ারি ২৭, ২০২৫ ৬:০৪ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

আবারও কর্মবিরতিতে গেলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা (চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিটিই)। সোমবার রাত ১২টার পর সব ধরনের ট্রেন চালানো থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন তারা। মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান ও আনুতোষিক সুবিধা না পেলে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন তারা।

সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী মজিবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আওয়ামী সরকার যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখেনি, বর্তমান সরকারও আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে আবারও কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। রাত ১২টার পর সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখব। কোনো অবস্থায়ই আমরা ট্রেন চালাব না। তবে রাত ১২টার আগে যেসব ট্রেন বিভিন্ন স্টেশন থেকে ছাড়বে, সেগুলো শেষ স্টেশনে পৌঁছাবে।

এ প্রসঙ্গে সোমবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বসেছি। আমরা তাদের দাবির প্রতি সহমত জানিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টাও করছি সমস্যার সমাধান করতে। আমরা আশা করছি, সমাধানও হবে। এজন্য আমরা তাদের প্রতি আহবান রেখেছি, তারা যেন ট্রেন চলাচল বন্ধ না রাখে। আশা করছি, তারা ট্রেন চালাবেন।

মজিবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল কর্মবিরতি পালন করলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছিল। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর বারবার আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিলেও এর কোনো সমাধান এখনো হয়নি।

সমস্যা সমাধানে সোমবার ঢাকার কমলাপুরে আন্দোলনকারী রানিং স্টাফদের সঙ্গে বৈঠক করেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তবে বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি। বৈঠক থেকে বের হয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মো. সাইদুর রহমান।

তিনি বলেন, রেলওয়ের কর্মকর্তারা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সাফ বলে দিয়েছি, সোমবার রাত ১২টার আগে আমাদের হাতে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের কাগজপত্র দেবেন। আমাদের ভাতা আগে যেমন ছিল, তেমন দিতে হবে। আমরা চার বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। তারা বারবার আমাদের কাছে সময় নিয়েছেন। যখন আমরা আলটিমেটাম দিই, শেষ সময়ে এসে তারা আমাদের সঙ্গে বসেন; কিন্তু কোনো দাবি পূরণ হয় না। এজন্য এবার আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি না।

সূত্র জানায়, বৈঠক করতে রানিং স্টাফদের রেল ভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনকারীরা। পরে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা।

এ প্রসঙ্গে সোমবার রাত ৯টায় রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. নাজমুল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা সোমবার বিকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা অনুরোধও করেছি কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে, তারা তা মানেনি। তারা ট্রেন চালাবে না বলে প্রকাশ্যেই বৈঠকে বলেন। তবু তাদের প্রতি আমরা বারবার অনুরোধ জানিয়ে বলেছি, এ সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি।

সূত্রমতে, দেশে ১৭শর বেশি রানিং স্টাফ কাজ করেন। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের আগে দেওয়া হতো বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের একদিনের বেসিকের সম্প্রতি ছোটখাটো ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সংঘাত বেড়েছে। আকস্মিক সৃষ্টি হওয়া এসব সংঘাতের ভুক্তভোগী হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থাপনার ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসানের পাঠানো এক বার্তায় এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল ২৬ জানুয়ারি ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত উভয় প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কয়েকজন পথচারীও আহত হয়েছেন।

বার্তায় আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ রাকিবসহ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্মম হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সরকারকে আরও বেশি সক্রিয় ও উদ্যোগী হতে হবে।

এতে বলা হয়, ওই ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্ন না ঘটার পাশাপাশি কোনোভাবেই যেন সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

একই সঙ্গে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের প্রতি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে যাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

 

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

প্রধান উপদেষ্টাকে লেখা চিঠিতে যা বললেন জাতিসংঘের মহাসচিব

সাবেক সচিবের মেয়ে চুরি করেছে ৮০০ মোবাইল, ডাক্তার সাজতে গিয়ে ধরা

এই মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য

সংঘর্ষের মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কোটাবিরোধীরা

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গণহত্যার দোসর জি এম কাদেরের বিচার ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে-পিএনপি

আত্মসমর্পণের কারণ জানালেন সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান

প্রেজেন্টেশনের পেছনের গল্প জানালেন আশিক চৌধুরী

ধামইরহাট পৌর বিএনপির ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি বাতিল ও নতুন কমিটির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া বিজ্ঞপ্তি

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা