বুধবার , ৫ মার্চ ২০২৫ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

সাত মাসে দেশে গণপিটুনিতে মৃত্যু ১১৯ জনের

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
মার্চ ৫, ২০২৫ ৮:০১ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ মাসে দেশে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১৯ জনের মৃত্যু এবং ৭৪ জন আহত হয়েছেন। আর গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৯২ জন। আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন।

বুধবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এসব তথ্য জানিয়েছে।

এইচআরএসএস বলছে, সম্প্রতি গণপিটুনির মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। ডাকাত, চোর, ছিনতাইকারী সন্দেহেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এসবের বাইরে ধর্মীয় অবমাননা এবং ছেলেধরার অভিযোগেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। গণপিটুনির ঘটনায় থানায় মামলা হলেও সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের শাসি্ত নিশ্চিতের ঘটনা খুবই কম। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা আইনের আওতায় না আসায় এ ধরনের ঘটনা থামছে না।

এইচআরএসএসের তথ্যমতে, গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে গত বছরে। গত বছর গণপিটুনিতে মারা গেছেন ১৭৯ জন। আহত হয়েছেন ৮৮ জন। গত বছরের মতো গণপিটুনির ঘটনা বেশি ঘটেছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। এই দুই বছর গণপিটুনিতে ২৩২ জন নিহত হন। এই মানবাধিকার সংস্থার হিসাব, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে অন্তত ৩০টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন, আর আহত হয়েছেন ২০ জন

দেশে গণপিটুনির ঘটনা আগে ঘটলেও ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের পর এ ধরনের ঘটনা নতুন মাত্রা পায়। আগে চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা বেশি ঘটলেও এ সময় দলবদ্ধভাবে হামলার ঘটনা বেড়েছে, যা ইতোমধ্যে ‘মব’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপর এ ধরনের ঘটনাকে মানুষের রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে দেখেন অনেকে। ৩ মার্চ রাতে চট্টগ্রামের এওচিয়া এলাকায় মাইকে ‘ডাকাত পড়ার’ ঘোষণা দিয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এইচআরএসএস বলছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ডাকাতির ঘটনায় শরীয়তপুরে সাতজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এতে পাঁচজন মারা যান। এর এক দিন আগে রাজধানীর উত্তরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পায়ে দড়ি বেঁধে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসব ঘটনার বাইরে বগুড়া, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, খুলনা, মিরসরাই, যাত্রাবাড়ী, টঙ্গী, রাজশাহী ও বরিশালেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষত পুলিশ ও র্যাব এখনো পুরোপুরি কার্যকর নয়। আবার চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে ক্ষোভের কারণে অনেকে সন্দেহ করে গণপিটুনির ঘটনা ঘটাচ্ছে। গণপিটুনির ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাসি্তর নজির তেমন নেই, তাই অনেকেই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে।

 

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন সমন্বয়ক মাহফুজ আলম

ঝিনাইগাতীতে এজেড ৬৪৫৩ এসটি ধানবীজ উচ্চ মূল্যে বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে জরিমানা

বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে- নাহিদ ইসলাম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তারেক-ফখরুলের শুভেচ্ছাবার্তা

শীতের সকালে উষ্ণতা ছড়ালেন বিদ্যা সিনহা

ছাত্রদলের প্রশংসা করে যা বললেন শিবির সভাপতি

রায়পুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে জামাতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সৌদি প্রবাসী রাসেল মিয়াকে অপহরণ করে পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বেকারত্ব দূর করে মৎস্য চাষে হবো স্বাবলম্বী

নিষিদ্ধ পাণ্ডুলিপি