দেশীয় প্রজাতির প্রায় বিলুপ্ত মাছগুলো রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের সব মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ সব ধরনের মাছ রক্ষায় কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে সঠিক পদ্ধতিতে চাষকৃত মাছেরও উৎপাদন বাড়াতে হবে।
বুধবার সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ এর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অবহিতকরণ- শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করতে গিয়ে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তাদেরকে সচেতন ও প্রশিক্ষিত করতে মৎস্য কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিকল্পিতভাবে চাষকৃত মাছের উৎপাদন বাড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাদ ও পুষ্টিগুণে অনন্য দেশীয় প্রজাতির মাছ। ছোটবড় প্রায় সব মানুষের কাছে সুস্বাদু প্রাণিজ আমিষ হলো দেশীয় মাছ। আর এত প্রজাতির মাছ অন্য কোন দেশে নেই। প্রায় বিলুপ্তির পথে থাকা মাছগুলোকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
দেশের জন্য মৎস্য কর্মকর্তা ও মাছ চাষীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব প্রকল্পকে আদর্শ ও আন্তর্জাতিক মানের করা উচিত। আর এজন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
দেশের নব্বই শতাংশ মাছ একসময় দেশীয় ছিল। দিন দিন এর পরিমাণ কমে যাচ্ছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে চাষকৃত মাছের উৎপাদন বাড়তে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বলে মনে করেন মৎস্য উপদেষ্টা।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান।