প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নতির শিখরে যাবে। ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিক দুই দলেই ড. ইউনূসের বন্ধু আছেন। ফলে ট্রাম্পের জয়ে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সম-সাময়িক নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে দেন শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। তার সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও উচ্চতায় যাবে বলে আশা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান উভয় পার্টি সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। দুই দলের অনেক সিনিয়র নেতার সঙ্গে ড. ইউনূসের রয়েছে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে দেওয়া ট্রাম্পের টুইট সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বাংলাদেশ ইস্যুতে টুইট করেছেন, তখন তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। আমরা মনে করি, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উনাকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি নিশ্চয়ই এসব খতিয়ে দেখবেন।
শফিকুল আলমের মতে, এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবর অতিরঞ্জিত।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প কেনো সেই টুইট করেছেন তা তিনি জানেন। এটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কথা বলেছি। নতুন করে আর বলার কিছু নেই।’
এদিকে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের ইসকনের ঘটনা বিষয়ে প্রেস সচিব জানান, এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন।