এ কে এম আজহারুল ইসলাম সবুজ (গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা) : গাইবান্ধার কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছরের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য শীতকালীন সবজি চাষ করছেন।
শীতকালীন সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের মতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ার আশাবাদী তারা। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ মাঠ পর্যায়ে সঠিক সময়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো পরামর্শ পাননি তারা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, প্রতি বছর জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করে থাকে।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজির ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সবজি চাষে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। নষ্ট হয়ে গেছে বীজ ও চারা। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে জেলার বাজারগুলোতে। হঠাৎ বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বেড়ে যায়।
বর্ষা মৌসুম কেটে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শুরু করেছেন শীতকালীন সবজি চাষ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চাষ করা সবজির মধ্যে রয়েছে পালংশাক, লালশাক,ধনেপাতা, মুলা, ফুলকপি, বাধাকপি, লাউ, শিম, টমেটো ইত্যাদি।
সরেজমিনে জানা গেছে, কৃষকদের মধ্যে কেউ জমিতে বীজ রোপণ করছেন। আবার কেউ কেউ জমি তৈরি করছেন। সব মিলিয়ে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। অনাগত ফসলের দিকে তাকিয়ে তাদের মুখে ফুটছে তৃপ্তির হাসি। জেলার প্রান্তিক কৃষক বকুল মিয়া ও পারভীন বেগম কাজ করেছেন মাঠে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন,’ চলতি রবি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বীজ-সার পর্যায়ক্রমে বিতরণ হচ্ছে। শীতকালীন শাক-সবজির অধিক ফলন পেতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে। ‘