এম,শাহজাহান, (ঝিনাইগাতী উপজেলা সংবাদদাতা): (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা গুলোতে তীব্র শীতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় পৌষের মাঝামাঝি মাঘের আগমন জানান দিচ্ছে। দিনের বেলায় ৩/৪ ঘন্টা সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা বাতাস। রাতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরেছে এসব এলাকার গরীব খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের জনজীবন। দেখা যায়, শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে খড়কুটোর আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছে অনেকে। আবার জীবন বাঁচানোর তাগিদে অনেকে মাঠে নেমে কাজ করছে।
কনকনে ঠান্ডায় হাড় কাপানো শীতে জুবুথুবু হয়ে দিন যাপন করছে হতদরিদ্র অসহায় মানুষ। শীতার্ত ব্যক্তিরা বলছেন, অন্যান্য শীত মৌসুমে সরকারি বেসরকারি ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করে তাতে অনেকে উপকৃত হয়। কিন্তু এবার সরকারি বেসরকারি সেবামূলক সংগঠনগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। ফলে অসহায় গরীব খেটে খাওয়া মানুষের শিশু কিশোররা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলার পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গরিব, দুখী অভাবী মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে মারাত্বক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ গাছের শুকনো পাতা, খরকুটো জ্বালিয়ে, কেউবা রান্না ঘরের চুলার পাশে বসে আগুন পোহাচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে বোরোধানের বীজতলা (জ্বালা) আলুসহ শীতকালীন সবজির আবাদও চরম ক্ষতির সম্মূখিন হয়ে পড়েছে। সরকারি বেসরকারী এনজিও সংস্থা সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ দানশীল ব্যাক্তিদের শীতবস্ত্র বিতরণের এখনই উপযুক্ত সময়।