জয়নাল আবেদিন (শেরপুর জেলা সংবাদদাতা): তারেক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মেজর অফ হানিফ সাহেব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পর এই মুহূর্তে দেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় নেতা যে তারেক রহমান – তাতে কোন দ্বিমত আছে বলে মনে হয় না। তিনি এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার সুস্থতা ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করছি। ১/১১ এর সরকার বিরাজনীতিকীকরনের অংশ হিসাবে তারেক রহমানকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে আওয়ামী সরকার সকল গণমাধ্যমে তাকে নিষিদ্ধ করার ফলে বিগত প্রায় ১৭ বছর দেশ নিয়ে তার ইতিবাচক চিন্তাগুলো অনেকাংশেই মানুষের অজানা রয়ে গেছে। তারেক রহমানের গবেষণালব্ধ ‘শিল্পায়ন ভাবনা’, শিক্ষা ভাবনা, কৃষি ভাবনা, আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন ভাবনার মত রাষ্ট্র চিন্তাগুলো জনসমক্ষে আসতে পারেনি।
দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হবার পর দেশ, দেশের জনগন, সার্বভৌমত্ব, গনতন্ত্র, সংস্কার, নির্বাচন, বর্তমান সরকার, পতিত সরকার, এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোসহ দেশের সার্বিক বিষয়ে তারেক রহমানের দৃষ্টিভংগি ও বক্তব্যসমুহ অসাধারণ পরিপক্ক, দেশপ্রেমিকতা ও রাষ্ট্র নায়োকোচিত বলে সর্বমহলে ব্যপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। এবং পুর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তে তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়তায় অবস্থান করছেন। প্রকৃতিপক্ষে আপাদমস্তক সৎ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশপ্রেমের মুর্ত প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার রক্ত যার শরীরে প্রবাহিত তারতো এরকমই হবার কথা।
গন অভ্যুত্থানে ভুমিকা: গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ থাকার কারণে গন অভ্যুত্থানে তারেক রহমানের ব্যপক ভুমিকা জনসমক্ষে আসতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে কোটা- বিরোধী ছাত্র আন্দোলকে ‘ ছাত্র জনতার আন্দোলনে ও এক দফার আন্দোলনে রুপান্তর এবং সফলতার মূল কারিগর ছিলেন তারেক রহমান।
তার পরিকল্পনা ও কার্যকরী পদক্ষেপ ব্যতিত শুধু ২ মাসের ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগের মত একটি সুবিশাল অপশক্তির পরাজয় সম্ভব হত না। দেশপ্রেমের অভুতপুর্ব উদাহরণ : ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আলীগ সা: সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন যে, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না থাকলে ১০ লক্ষ আওয়ামী নেতাকর্মীকে হত্যা করা হবে। কিন্তু তারেক রহমানের দেশপ্রেম, অহিংস বৈশিষ্ট্য এবং তড়িৎ দৃঢ় অবস্থানের কারণে ১০ লক্ষ দূরে থাক ১০ জন এমনকি ১ জন আওয়ামী নেতা বা কর্মীও গনহত্যার শিকার হয়নি।
বিগত প্রায় ১৫ বছর আওয়ামীলীগ ও তাদের সরকার দ্বারা অমানবিকভাবে হত্যা, গুম, অবর্ননীয় নির্যাতন, মামলা, জেল জুলুম, চাকরি চ্যুতি, ও ব্যবসাবানিজ্য বন্ধের করুন শিকার হয়েছিল লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী। স্বাভাবিক কারনেই সরকার পতনের পর এই নির্যাতিত মজলুম মানুষগুলোর প্রতিশোধ পরায়ন হওয়া ছিল অনিবার্য।
কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের কঠোর হুশিয়ারি ও নির্দেশনার কারনে দেশ একটি রক্তক্ষয়ী বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পায়। সরকার পতন পরবর্তীতে দখল লুটপাটের বিরুদ্ধে তারেক রহমান দৃঢ় কঠোরতা প্রদর্শন করেছেন।
এতদবিষয়ে তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও কুন্ঠাবোধ করেননি। প্রায় ১২০০ নেতাকে পদাবনতি / বহিষ্কার করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কার: আজ যে দেশের সকল স্তরের মানুষ রাষ্ট্র সংস্কারের তাগিদ অনুভব করছে জনাব তারেক রহমান ৩ বছর পুর্বেই তার আবশ্যকতা উপলব্ধি করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব প্রনয়ণ করেছিলেন। সরকার পতনের পর দলের যেকোন প্রকার বিজয় উল্লাসকে তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন। দলীয় সকল প্রকার রঙিন পোষ্টার/ ব্যানার প্রকাশ ও লাগানো নিষেধ করেছেন।
তার জন্মদিনে কোন স্তরে কোনরূপ আনুষ্ঠানিকতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে ‘রাষ্টনায়ক’, দেশনায়ক’ হিসাবে সম্বোধন করতে নিষেধ করেছেন।
ইতোপূর্বে আমরা দেখেছি অন্য দলের একজন নেতার সাথে কথোপকথনের সময় তিনি বারবার বলছেন, ” আমাকে নাম ধরে ডাকবেন, তুমি বলবেন।’ এসবই জনাব তারেক রহমানের বিনয়, মহানুভবতা, দেশপ্রেম এবং সার্বজনীনতার বহিঃপ্রকাশ। ( মেজর মুহা: হানিফ অব:)
