ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটার পর একটি রাজনৈতিক দল বলার চেষ্টা করছে যে দেশে নির্বাচিত কোনো সরকার নেই- এ কারণে এ ঘটনাগুলো ঘটছে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের কিছু কর্মীর মাধ্যমে এই ধর্ষণ-লুটতরাজের ঘটনাগুলো ঘটছে।’
রবিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা লজ্জিত, এ দেশে জুলাই-েপরবর্তী যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে ওঠার কথা ছিল, যে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠলে ধর্ষক, ছিনতাইকারী ও লুটেরাদের স্থান এই দেশে হতো না; সেই জাতীয় ঐকমত্যের বিপরীতে গিয়ে কোনো ঘটনা ঘটলে শুধু নির্বাচনই একমাত্র সমাধান বলে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল বুলি আওড়াচ্ছে; অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের কিছু কর্মীর মাধ্যমে এই ধর্ষণ-লুটতরাজের ঘটনাগুলো ঘটছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে আপনাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাইনাস হয়ে যাবেন।’
জনগণের পালস বুঝে জনগণের নিরাপত্তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম দেশে আর কোনো ধর্ষণ, গুম, খুন, লুটতরাজ দেখতে চায় না। আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন নারীরা মিছিল করে বলছেন ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
এটা সাড়ে ১৫০০ বছর আগে ইসলাম বলে দিয়েছে ধর্ষকদের শাস্তি হবে পাথর মেরে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা। তাহলে বাংলার জমিনে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটা ধর্ষণের মামলা করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। একটা মামলার পর সাত-আট বছর গেলেও তার সুরাহা হয় না।
আমরা এই বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।