বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান এক সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে সব মহলে পরিচিত। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে অবহেলার শিকার হয়ে পরবর্তীতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগ দেন। ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা সভাপতি পদ পান। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে সেনা প্রশাসন ‘চাপ দিচ্ছে’ বলে দাবি করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক ২১ মার্চ রাত ২টার দিকে এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায় তিনিসহ তিনজনের কাছে সেনানিবাস থেকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে’ রাজনীতিতে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সম্প্রতি যুগান্তরের বিশেষ সাক্ষাৎকারে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ হবে বলে আমি মনে করি না এবং হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে সেটাও মনে করি না। রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ হতে হলে যে ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতি দরকার এটা বাংলাদেশে এখন নেই। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ নিজেদের ও দেশের যে ক্ষতি করেছে, সেই নেতৃত্ব ক্ষতি বা সর্বনাশের সঙ্গে যুক্ত তারা আর রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে বলে মনে করি না।