শুক্রবার , ২১ মার্চ ২০২৫ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

শুরু হলো নাজাতের দশক

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
মার্চ ২১, ২০২৫ ৯:৫০ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

আজ ২১ রমজান। শুরু হলো নাজাতের দশক। রমজানের চাঁদ দেখে আমরা সিয়ামের যে কর্মশালায় ভর্তি হয়েছিলাম, এটি তার শেষ অধিবেশন। গেল ২০ দিন আত্মশুদ্ধি, আত্মসংযম ও আত্মোন্নয়নের অনুশীলনে যারা ব্রতী ছিলেন, যারা মাওলার রহমত আর মাগফিরাত কামনায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সাধনা করেছেন-আজ থেকে তারা মুক্তির সন্ধানে কোমর বেঁধেছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন রমজানের শেষ ১০ রাত আসত, তখন নবি করিম (সা.) কোমরে কাপড় বেঁধে নেমে পড়তেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত জেগে থাকতেন। আর পরিবার-পরিজনকেও তিনি জাগিয়ে দিতেন। (বুখারি শরিফ-১০৫৩)

নাজাতের এ দশ দিনের বেজোড় তারিখে শবেকদরের সন্ধান করতেন প্রিয় নবি (সা.)। হাদিসে পাকে এসেছে, আম্মাজন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেন, রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় তারিখে তোমরা শবেকদর তালাশ কর। (বুখারি শরিফ) হজরত ওবাদা বিন সামেত (রা.) হুজুর (সা.)কে শবেকদর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, হুজুর (সা.) বলেন, রমজানের শেষ দশ দিনের যে কোনো বেজোড় রাত যথা ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯-এর রাতে শবেকদর পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি দৃঢ়বিশ্বাসের সঙ্গে পুণ্যের আশায় এ রাতে ইবাদত-বন্দেগিতে কাটায়, তার আগের সব পাপ মুছে যায়। সে রাতে থাকে না শীত কিংবা গরম। সে রাত হয় জলমলে চাঁদনি রাত। আকাশের নক্ষত্ররাজি শয়তানকে তাড়া করার জন্য ছুটবে না সে রাতে। ভোরবেলায় সূর্য কিরণহীন হয়ে উদিত হবে যেন চর্তুদশীর পূর্ণচন্দ্ররূপে। সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে শয়তানের আত্মপ্রকাশ সেদিনের জন্য আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন। (আহমদ বায়হাকি)

পবিত্র এ রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এ রাত সম্মানিত হয়েছে কুরআনের কারণে। এ মাস সম্মানিত হয়েছে এ রাতের কারণে। এ রাত যারা খুঁজে পাবে, তারা হবে সম্মানিত। এ রাতের ফজিলত অর্জনে ইতিকাফের কোনো বিকল্প নেই। শায়খুল হাদিস আল্লামা জাকারিয়া (রহ.) লিখেন, ইতিকাফকারীর তুলনা হলো ওই ব্যক্তির মতো, যে এ কথা বলে কারও দরবারে হাজির হলো, আমার আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে সরব না। এ অবস্থায় নিষ্ঠুর ও কঠোর মানুষের অন্তরও গলে যায়। আর আল্লাহ পাক তো দয়ার সাগর। তিনি বান্দাকে ক্ষমা করার জন্য নানা বাহানা তালাশ করতে থাকেন। যে ক্ষমা ও মুক্তির জন্য দুনিয়ার সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আল্লাহর ঘরে চলে আসে, নিশ্চয় তাকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) অন্য সময়ের তুলনায় রমজানের শেষ দশকে বেশি পরিমাণ ইবাদতে এমনভাবে সচেষ্ট থাকতেন, যা অন্য সময়ে থাকতেন না। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৭৮) এ দিনগুলোতে অনেকটা নিদ্রাবিহীন রাত পার করতেন তিনি। রাসূল (সা.) প্রথম ২০ দিন সালাত আদায় করতেন এবং ঘুমাতেন। কিন্তু শেষ ১০ দিন ঘুমাতেন না, বরং পরিধেয় বস্ত্রকে মজবুত করে বেঁধে সালাতে মনোনিবেশ করতেন। (মুসনাদে আহমাদ) তাই আমাদের উচিত, নাজাতের এ দিনগুলোকে মূল্যায়ন করা। বেশি বেশি দোয়া-দরুদ, তাওবা-ইস্তিগফার, নফল নামাজ, তারাবিহ, তাহাজ্জুদ ও কিয়ামুল্লাইলে নিমগ্ন থাকা। শেষ দশকের মোবারক এ সময়ে পৃথিবীর যে প্রান্তের যারা শবেকদরের তালাশে আল্লাহর ঘর মসজিদের অবস্থান করছেন-আল্লাহ তাদের সঙ্গে আমরা যারা ইতিকাফে বসতে পারিনি, আমাদেরও কবুল করে নিন। সিয়ামের শিক্ষায় আমাদের জীবন ও সমাজকে আলোকিত করার তাওফিক দিন! আমিন

 

সর্বশেষ - সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঢাকার রাস্তায় কেউ দোকান বসাতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এবার চামড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব

এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো খুব কঠিন: বাশার

সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম, মুরগি

চট্টগ্রামে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, সচেতনতা ডেঙ্গ রোগ কমাতে পারে

১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

ঝিনাইগাতীর গজনীসহ পাহাড়ী জনপদে পিকনিক গাড়ির সাউন্ড বক্সের শব্দে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

প্রেসসচিবের অ্যাকাউন্টে ১১.৪ মিলিয়ন টাকা, আরো যত সম্পত্তি—জানালেন নিজেই

বনশ্রীতে গুলি করে ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ২০০ ভরি সোনা ডাকাতি

র‌্যাব মহাপরিচালক খুরশীদ হোসেনের বিদায়ী সংবর্ধনা