শুক্রবার , ৩১ মে ২০২৪ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-বিচার
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইসলাম
  8. ঈদুল ফিতর
  9. ক্যাম্পাস
  10. ক্রিকেট
  11. খুলনা
  12. খেলা-ধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা

সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক:)এর সংক্ষীপ্ত জীবনী

প্রতিবেদক
স্বাধীন কাগজ
মে ৩১, ২০২৪ ১১:২২ অপরাহ্ণ   প্রিন্ট সংস্করণ

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ মাইজভান্ডারী দরবার শরীফের আধ্যাত্নিক সরাফতের প্রতিষ্টাতা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)’ র পুর্বপুরুষ সৈয়দ হামিদ উদ্দীন গৌড়ি ১৫৭৫ সালে ইসলাম প্রচার মানসে চট্টগ্রামে আগমন করে পটিয়া থানার কাঞ্চননগরে বসতি স্থাপন করেন।
তার এক পুত্র সন্তান সৈয়দ আবদুল কাদের (রহঃ) ফটিকছড়ি থানার আজিম নগরে ইমামতির দায়িত্ব নিয়ে বসতি স্থাপন করেন। তার প্রপৌত্র মওলানা সৈয়দ মতিউল্লাহর পবিত্র ঔরসে ১৮২৬ সালে, হিজরী ১২৪৪, ১২৩৩ বাংলা ১ মাঘ, বুধবার জোহরের সময় হযরত শাহ সুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) জন্ম গ্রহণ করেন। তার মাতার নাম সৈয়দা খায়েরুন্নেছা বিবি।

বিদ্যার্জনঃ চার বছর বয়সে গ্রাম্য মক্তবে তার শিক্ষাজীবন আরম্ভ হয়। ১২৬০ হিজরীতে তিনি উচ্চশিক্ষাার্থে কলকাতা গমন করেন। ১২৬৮ হিজরীতে তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। এই সময় তিনি হাদিস, তাফসীর, ফিকাহ, মানতিক, বালাগাত, উছুল, আক্বায়েদ, ফালছাফা, ফরায়েজ ইত্যাদি শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শীতা অর্জন করেন।

আধ্যাত্বিক জীবনের দীক্ষাঃ তার পীরে তরিকত ছিলেন পীরানে পীর দস্তগীর গাউছুল আজম মহি উদ্দীন আবদুল কাদের জীলানীর (রহঃ) বংশধর শেখ সৈয়দ আবু শাহমা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রহ)। অপরদিকে তার পীরে তরিক্বতের বড় ভাই হযরত শাহ সৈয়দ দেলাওর আলী পাকবাজ (রহ) এর কাছ থেকে কুতুবিয়তের ফয়েজ অর্জন করেন। একদিন জোহরের নামাজের পর হযরত শাহ ছুফী সৈয়দ আবু শাহামা লাহোরী (রহ
০ তার মুরীদানদের নিয়ে নিজ হুজুরায় ধর্মালোচনা করছিলেন। ঠিক সে সময়েই হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক) পাল্কীযোগে কোন এক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য সেই ভবনের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
হযরত লাহোরী (রহঃ) নিজ অর্জিত ‘লাল’ (আধ্যাত্বিক স্তর বিশেষ) অর্পণের জন্য দীর্ঘদিন যাবত উপযুক্ত শিষ্যের খোঁজে ছিলেন। তিনি কালবিলম্ব না করে আপন মুরীদ শাহ এনায়েত উল্লাহ সাহেব এর মাধ্যমে পাল্কী-আরোহী হযরত ক্বেবলাকে (কঃ) সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানালেন। হযরত ক্বেবলাও (কঃ) তার মাহফিলে যোগদানের কর্মসূচীর উপরে খোদায়ী রহস্য ও রহমতপূর্ণ এই বেলায়তী আমন্ত্রণকে প্রাধান্য দিয়ে তার আহবানে সাড়া দেন।
হযরত আবু শাহামা মুহাম্মদ ছালেহ লাহোরী (রহ) হযরত ক্বেবলাকে (কঃ) সম্মানের সাথে অভ্যর্থনার পর নিজ তরিক্বতের বাইয়াত প্রদান করেন এবং তার জন্য খাস পানাহারের আয়োজন করেন।
দেখতে দেখতে পাত্রপূর্ণ খাদ্য নিঃশেষ হলেও হযরত ক্বেবলার চাহিদা যেন মিটলো না, তিনি আরো পেতে আগ্রহী। কিন্তু তার পীরে ত্বরিক্বত মৃদু হেসে বললেন, ‘হে প্রিয়তম, আমার রান্না ঘরে আপনার জন্য রক্ষিত সবকিছুই পরিবেশন করা হয়েছে।
এর অধিক প্রয়োজনে আপনি সহস্তে পাক করে খাবেন।’ এই রূপক বাক্যের মাধ্যমে পীরে ত্বরিক্বত হযরত আবু শাহমা (রহঃ) বুঝিয়ে দেন যে, তিনি হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীকে (কঃ) তার সমস্ত আধ্যাত্বিক নেয়ামত ও খোদায়ী শক্তি অর্পণ করেছেন। আরো অধিক কামালিয়ত তথা আধ্যাত্বিক উচ্চাসন লাভের নিমিত্তে হযরত ক্বেবলাকে (কঃ) ‘নিজ হস্তে পাক করে’ তথা সাধনা ও রিয়াজতের মাধ্যমে অর্জন করতে হবে। এরপর সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক আপন পীরের তত্ত্বাবধানে নিজেকে আধ্যাত্বিক সাধনায় নিয়োজিত রাখেন। এই বিরল অথচ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা থেকে আমরা একদিকে যুগপৎ ভাবে পীর ও মুরীদ-হযরত আবু শাহমা (রহঃ) ও হযরত আহমদ উল্লাহ (কঃ) এর আধ্যাত্বিক উচ্চাসনের বিষয়টি যেমন জানতে পারি তেমনি ত্বরিক্বত চর্চা ও আধ্যাত্বিক জগতে সফলতার জন্য হক্কানী পীরের হাতে বাইয়াত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ও তার তত্ত্বাবধানে আধ্যাত্বিক সাধনার গুরূত্বও সমভাবে উপলদ্ধি করতে পারি।
কর্মজীবনঃ হিজরী ১২৬৯ সালে তিনি যশোর জেলায় কাজী (বিচারক) পদে যোগদান করেন। কিন্তু বিচারিক কাজের প্রতি অনীহার কারণে ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদ থেকে পদত্যাগ করে কলকাতার মুন্সি বু-আলী মাদ্রাসায় প্রধান মোদার্রেছের পদে যোগদান করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি একই সাথে তিনি মুন্সেফী অধ্যয়নের কাজও চালিয়ে যান। তার চারিত্রিক গুণাবলী ও জ্ঞানের ব্যাপকতায় মুগ্ধ কলকাতাবাসী তার ওয়াজ শুনার জন্য উন্মুখ ছিলো।

ফরিয়াদীদের হাজত মাকছুদ পুরন ও অন্যান্য কারামাতঃ হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তার পীরে ত্বরিকতের নির্দেশে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডারে ফিরে আসেন। কিছু দিনের মধ্যেই তার কামালিয়তের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐশী-প্রেম পিপাসু সাধক ও দোয়া প্রত্যাশী ফরিয়াদিদের ভিড়ে এই সাধকের পবিত্র বাস গৃহ বিশ্ব-মানবতার কল্যাণ ধারক এক উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্বিক দরবারে পরিণত হয়। গাউছুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এর কিছু উল্লেখযোগ্য কামালিয়ত নিন্মোক্ত শ্রেণীতে বর্ণনা করা যেতে পারে।

ক) দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্তিদান। খ) অভাব-অনটন থেকে মুক্তিদান পূর্বক অর্থনৈতিক সাফল্য প্রদান। গ) নিঃসন্তানকে সন্তান দান। ঘ) হাকিমের উপর আধ্যাত্বিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ফরিয়াদির স্বপক্ষে মোকাদ্দমার রায় প্রদান। ঙ) হযরতের আধ্যাত্বিক প্রভাবে অনভিজ্ঞ হেকিম এর হেকিম হিসেবে সুনাম অর্জন। চ) তার শুভ দৃষ্টিতে মৃত্যুকষ্ট লাঘব এবং মৃত্যুকালে ঈমান রক্ষা। ছ) পথহারা, সহায়-সম্বলহীন হাজী সাহেবকে অলৌকিকভাবে গৃহে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেয়া।

বর্ণিত শিরোনামগুলো ছাড়াও হযরত কেবলার (কঃ) অসংখ্যা কারামতের ঘটনা বিভিন্ন গ্রন্থে ও লোকমুখে প্রচারিত। ওফাতের পরও তার পবিত্র মাজার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মিলন কেন্দ্র। আজও ফরিয়াদিরা তার মাজারে এসে আপন হাজত-মাকসুদ পূরণের জন্য নজর-মানত সহ আল্লাহর দরবারে মিনতি করেন এবং তাদের চাহিদাও পূর্ণ হচ্ছে নিয়মিতভাবে যা খোদার নেয়ামত এর এক তুঙ্গীয় বহিঃপ্রকাশ। হযরত দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) হযরত কেবলার (কঃ) এই খোদা প্রদত্ত বিশেষত্ব বর্ণনায় বলেন, কামেলের মাজার জান সর্ব দূঃখ হারী, প্রেমিকের অন্তরে ঢালে শান্তি সুধা বারি।

ওলামায়ে কেরামের দৃষ্টিতে সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কঃ)ঃ সমসাময়িক ও পরবর্তি সূফী ওলামায়ে কেরাম তার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার গাউছিয়তের আন্তরিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। হাফেজ মাওলানা হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ ছিরিকোটি (রহঃ) এর বর্ণনামতে “তিনি (সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এই জামানার আওলিয়াদের সম্রাট। হুকুমত তারই”। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আমীর মাওলানা সৈয়দ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহঃ) তার ‘দিওয়ানে আজিজ’ গ্রন্থে হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) যে প্রশংসা বাক্য লিখেছেন তা প্রনিধান যোগ্য- “হযরত শাহ আহমদ উল্লাহ কাদেরী পূর্বাঞ্চলে প্রকাশিত কুতুবুল আকতাব। তিনি মাইজভান্ডারী সিংহাসনে অধিষ্ঠিত গাউছুল আজম (লকবধারী) বাদশাহ, যিনি উম্মতে আহমদীর জন্য হেদায়তের আলোকবর্তিকা। তার অনুগ্রহের ছায়াকে হুমা পাখির ছায়ার মতো জানো (যা দুর্ভাগাকে ভাগ্যবানে পরিণত করে), তিনি বিশ্ববাসীর জন্য লাল স্পর্শমনি সদৃশ। পয়গম্বর (দঃ) এর কাছে (বেলায়তে ওজমা বা শ্রেষ্ঠ বেলায়তের) দুটি তাজ ছিল, তার একটি হযরত শাহ আহমদ উল্লাহ এর মস্তকে সন্দেহাতীত ভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই কারণেই তিনি পূর্বাঞ্চলে অবস্থানকারী গাউছুল আজম, তার রওজা জ্বীন, পরী, মানব (সকল) এর জন্য খোদায়ী অনুগ্রহের উৎস।

মাইজভান্ডারী ত্বরিকা প্রতিষ্ঠাঃ হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) মাইজভান্ডারী ত্বরিকা প্রতিষ্ঠা করেন। মাইজভান্ডারী ত্বরিকা কোরআন ও হাদিস ভিত্তিক ইসলামের মৌলিক ভাবাদর্শের অনুসরণে প্রতিষ্ঠিত একটি ত্বরিকা। অন্যান্য ত্বরিকার আত্মিক ও আধ্যাত্মিক বৈশিষ্টগুলো মাইজভান্ডারী ত্বরিকায় একত্রিত হয়েছে। এই ত্বরিকা ছিলাছিলার দৃষ্টিকোনে কাদেরিয়া ত্বরিকার সাথে সর্ম্পকিত। তাই এই ত্বরিকার বায়াত প্রদান কালে কাদেরিয়া ত্বরিকার উসুল অনুসরণ করা হয়। এই ত্বরিকার বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে যে, এ ত্বরিকা ইসলামী ভাবাদর্শকে পরিপূর্ণভাবে আত্বস্থ করার পাশাপাশি একই সাথে অসাম্প্রদায়িক, উদার ও সংস্কারমুক্ত, নৈতিক ধর্ম-প্রাধান্যসম্পন্ন, শ্রেণী-বৈষম্যহীন ও মানবদরদী।

পরবর্তি রূহানী উত্তরাধিকার নির্ধারনঃ হযরত গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) তার ওফাতের পূর্বে আপন নাতি হযরত শাহ সুফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) কে স্বীয় গদী শরীফের উত্তরাধিকারী নির্ধারন করে যান। হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহর (কঃ) নশ্বর জীবনের শেষ সময়ে একদিন জুমার নামাজান্তে আশেক ভক্ত-মুুসুল্লীদের পক্ষ হয়ে মহলল্লার সর্দার সায়াদ উদ্দীন এর ভাই আছাব উদ্দীন তার (কঃ) সকাসে উপস্থিত হয়ে আরজ করেন, হুজুর আপনার তবিয়ত ও শরীর দিন দিন কমজোর হয়ে যাচ্ছে। কোন সময় আপনি আমাদেরকে ছেড়ে চলে যান, তারতো কোন ঠিক নাই, হুজুর স্বয়ং থাকতে হুজুরের বড় নাতি সৈয়দ মীর হাছানকে গদীতে বসিয়ে গেলে আমাদের জন্য ভাল হতো। হযরত কেবলা এই ফরিয়াদের উত্তরে বলেন, মীর হাছান মিঞা নাবালেগ, আমার ‘দেলাময়না’ বালেগ! দেলাময়নাই আমার গদীতে বসবে।” বড় ভাই মীর হাছানকে (রহঃ) ‘নাবালেগ’ আর ছোট ভাই সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারীকে (রহঃ) ‘বালেগ’ বলার এই বাস্তবতার বিপরীত রহস্যবাক্য উপস্থিত আশেক-ভক্তগন বুঝতে পারেন নাই। হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (কঃ) পরলোক গমনের তেতাল্লিশ দিন পর যখন বড় ভাই মীর হাছান মিঞাও জান্নাতবাসী হন তখন সকলে হযরতের পবিত্র কালামের রহস্য অনুধাবন করতে সক্ষম হন। যা ছিলো তার অসংখ্য কারামতের অন্যতম।হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহ) তার উপর অর্পিত এই গাউছিয়ত ক্ষমতায় সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত হয়ে মাইজভান্ডারী পরিমন্ডলে আবির্ভূত হয়েছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী এক নতুন সত্তা নিয়ে। সব্যসাচীর মতো যুগপৎভাবে রূহানি হেদায়ত আর মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। খেলাফতের মাধ্যমে সাজ্জাদানশীন মনোনয়ন প্রসঙ্গে হযরত অছি-এ-গাউছুল আজম (রহঃ) বলেন, “বিশেষতঃ পীর ছাড়া পীর, ধর্মীয় বাধঁন হারা ফকির, কোরান হাদিস, ছুফী মতবাদ জ্ঞানহীন ফিকিরবাজ লোকের কাজ কারবারের ফলে ফকীরীর নামে যে উশৃঙ্খলতা দেখা দিয়াছে এই গুলির প্রতিও আমার দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। কামেল পীর, বুজুর্গানের নামে হুকুম, স্বপ্ন ইত্যাদি উদ্দেশ্যমুলক মিথ্যা কথা ফলাইয়া যাহারা এই ব্যবসা চালায় এবং সরল বিশ্বাসী লোককে ঠকায় তাহারা অনেকেই নিজের কোন ছিলছিলা দেখাইতে না পারায় নিজেকে মাইজভান্ডারী বা আজমিরী বলিয়া পরিচয় দেয়। যেহেতু এই দেশে উক্ত দুই দরবারের নাম শান অতি প্রসিদ্ধ।” তাই মাইজভান্ডারী ত্বরিকার সঠিক আঙ্গিক ও ফয়েজ লাভের স্থান ও মূল মাইজভান্ডারী পীর-মুর্শিদের আঙ্গিক সর্ম্পকে অবগত হওয়া জরুরী।

ওফাত ও ওরশ: গাউছুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) ৭৯ বছর বয়সে ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে, ১৩১৩ বঙ্গাব্দে ১০ মাঘ সোমবার দিবাগত রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন। প্রতি বছর ৮, ৯ ও ১০ মাঘ তার ওফাত দিবস উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী ওরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশ-বিদেশের লক্ষ-লক্ষ আশেক ভক্তের সমাগম ঘটে। এই ওরশ শরীফে অংশ গ্রহন দিন দিন বেড়েই চলছে। ওরশ শরীফের সমাজের সর্বস্তরের জনগনের অংশগ্রহনের ব্যাপকতা হযরত শাহ আহমদ উল্লাহ (কঃ) এর আধ্যাত্বিক মাহাত্ব ও তার ত্বরিকার সার্বজনীনতা ও ক্রমপসারমানতারই এক অনুপম স্বাক্ষর।

সর্বশেষ - সংবাদ