লক্ষ্যটা আড়াই শ ছুঁইছুঁই। নারী ক্রিকেটে টার্গেটটা মোটেও সহজ নয়। এমন টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৯৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যবধান। বাকিদের কাজ কেবল হারের ব্যবধান কমানো; এমনটাই যখন ধরে নেওয়া হয়েছিল। তখন পাশার দান পাল্টে দিয়েছেন ঋতু মনি। ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ৬৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন ৮ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে।
টুর্নামেন্টে এটি বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়। এ জয়ে ৬ দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তাতে নারী বিশ্বকাপের রাস্তাটাও সহজ হয়ে এসেছে বাংলাদেশের জন্য। কেননা, এখান থেকে শীর্ষ দুদল যাবে বিশ্বকাপে।
এদিন আইরিশ মেয়েদের দেওয়া ২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই বিপদে পড়ে। ওপেনার ইশমা তানজিম ও ফারজানা হক পিংকি ফিরে যান শুরুতেই। ২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার। তবে সঙ্গ পাননি জ্যোতি। শারমিন ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর সুবানা মোস্তারি ফেরেন ৭ রান করে। তবে ফিফটি তুলে দলকে পথে রাখেন জ্যোতি।
এরপরই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় বাংলাদেশ। ৬৪ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। তবে এদিন দায়িত্ব নিয়েছে মিডল অর্ডার। ফাহিমা খাতুন ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও দলকে রানে রাখেন ঋতু। ফাহিমার পর জান্নাতুল ১৯ ও রাবেয়া ৫ রান করে সাজঘরে ফিরলেও নাহিদাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ঋতু। জয়ের পথে নাহিদা অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ১৮ রানে। অন্যদিকে ঋতু খেলেছেন ৬১ বলে ৬৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস।
এর আগে, পাকিস্তানের লাহোরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক গ্যাবি লুইসের ২৪, অ্যামি হান্টারের ৩৩, ওরলা প্রেনডেরগাস্টের ৪১ ও লাউরা ডেলানির ৬৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২৩৫ রানের শক্ত পুঁজি দাড় করায় আয়ারল্যান্ড। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের সেই সংগ্রহও যথেষ্ট হলো না জয়ের জন্য।