মাসুদ সরকার, (ধামইরহাট উপজেলা সংবাদদাতা): আশ্রয়হীন এক প্রতিবন্ধীর মানবেতর জীবনযাপন। ভুমিহীন সেই প্রতিবন্ধীর নেই মাথা লুকানোর মতো ছোট একটি ঘর। মেলেনি সরকারি তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা। জীবন জুড়েই রয়েছে খাদ্য সংকট। সামান্য একটু মাথা গোঁজার ঠাই পেতে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। তাঁরা আশ্বাস দিলেও ভাগ্যে জোটেনি কোন ধরনের সহায়তা।
বলছিলাম নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার কাদিপুর মৌজার দৌলতপুর গ্রামের অফির উদ্দিনের প্রতিবন্ধী মেয়ে বানু (৬৫)র জীবন-যাপনের কথা। ভুমিহীন, আশ্রয়হীন প্রতিবন্ধী বানুর গ্রামে গিয়ে জানা যায় তার কষ্টের জীবনের অজানা সব কথা। শারিরীক, মানসিক, শ্রবনশক্তিহীন বানু অর্থনৈতিক সংকট ও চরম দারিদ্র সিমার নিচে বসবাস করছেন। নিজের বলতে কিছুই নেই এমন কি রান্নার জন্য একটি চুলাও নেই তার।
এক বেলা খাবার জুটলেও দু’বেলা না খেয়ে দিন পেরিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আমার সম্পদ বলতে কিছুই নেই এমন কি মাথা গোঁজার মত একটা জায়গাও নেই ফলে কখনো ছোট বোনের বাশের কন্চি দিয়ে ঘেরা ছোট একটি জরাজীর্ণ ঘরে রাত্রী যাপন আবার কখনো অন্যের ঘরের বারন্দায় কখনো আবার গাছের নিচে রাত কেটে যায়। কারো সাথে বিয়ে করে ঘর-সংসার করবে তেমন শারীরিক প্রস্তুততো নন তিনি।
জন্মলগ্ন থেকেই শরিরের প্রত্যেকটি অঙ্গে বাসা বেঁধে আছে প্রতিবন্ধীর প্রভাব। দু’চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখেন তিনি। আবার কানেও কম শুনতে পান। প্রকৃতির নিষ্ঠুর নির্মমতা তার শরিরে বিস্তার লাভ করে আছে। সেই কারণে সমাজের মুল স্রোত ধারা থেকেও সে বিচ্ছন্ন।
সমাজের সহানুভূতি ও সহায়তার চরম অভাব বলে বানু প্রতিবেদক জানান। জীবন বাঁচার তাগিদে দু’মুঠো ভাতের জন্য অন্যের জমিতে ধান কুড়িয়ে যতটুকু ধান জড়ো হয় সেই ধান সিদ্ধ করে চাল করেন। সেই চালটুকুই তার জীবিকার এক মাত্র সম্বল। পোশাক আশাক পরে অন্যজনের ব্যবহৃত পুরনো অথবা কেউ দান করলে। অন্য,বস্ত্র,বাসস্থান এই তিনটি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত প্রতিবন্ধী বানু।