নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মতিঝিল। এই এলাকার যানজট নিরসন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় এক পরিচিত মুখ, একনিষ্ঠ পুলিশ সার্জেন্ট রনি। তাঁর সততা, দক্ষতা এবং ন্যায়নিষ্ঠা শুধু সহকর্মীদের কাছেই নয়, সাধারণ পথচারী ও চালকদের কাছেও তাঁকে করে তুলেছে এক আস্থার প্রতীক।
যানজট নিরসন এবং সড়ক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মতিঝিলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে তাঁকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কার্যকর পদক্ষেপের ফলে অনেক সময় দীর্ঘ যানজট থেকেও মুক্তি মিলেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এক রিকশাচালক, করিম মিয়া বলেন, “আগে মতিঝিলে ট্রাফিক পুলিশ দেখলেই ভয় পেতাম। কিন্তু সার্জেন্ট রনি সাহেব আসার পর থেকে সেই ভয়টা কেটে গেছে। উনি কোনো অন্যায় করেন না, আর কেউ অন্যায় করলে সে যেই হোক, তাঁকে ছাড় দেন না। এটাই আমাদের ভরসা।”
তাঁর সততার দৃষ্টান্তও অসংখ্য। অনেক সময় বিভিন্ন প্রলোভন সত্ত্বেও তিনি তাঁর নীতি থেকে বিচ্যুত হননি। বরং, নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালনে তিনি সবসময় অটল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক কর্মকর্তা জানান, “রনি অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সৎ একজন অফিসার। তাঁর মতো আরও কয়েকজন অফিসার থাকলে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার চিত্রই পাল্টে যেত।”
শুধু কর্তব্যপরায়ণতাই নয়, রনি তাঁর মানবিক আচরণের জন্যও পরিচিত। বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করা, পথচারীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তিনি পিছপা হন না। সম্প্রতি, এক বয়স্ক মহিলা পথচারী রাস্তা পার হতে গিয়ে হোঁচট খেলে রনি দ্রুত তাঁকে সাহায্যে এগিয়ে আসেন এবং নিরাপদে রাস্তা পার করে দেন। এমন অসংখ্য ছোট ছোট ঘটনা রনিকে মতিঝিলবাসীর কাছে একজন আপনজন করে তুলেছে।
মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও সার্জেন্ট রনির কাজে সন্তুষ্ট। তাঁরা জানান, রনি তাঁর কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং একজন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই দৃষ্টান্ত অন্যান্য পুলিশ সদস্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
সার্জেন্ট রনি বলেন, “আমার কাজ মানুষের সেবা করা। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে। মানুষ যখন স্বস্তি পায়, তখন আমারও ভালো লাগে।”
মতিঝিলের ব্যস্ত সড়কে সার্জেন্ট রনির মতো সৎ, দক্ষ ও ন্যায়নিষ্ঠাবান পুলিশ সদস্যরাই পারেন একটি সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে। তাঁর এই নিরলস প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।